মঙ্গলবার, ২২শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
শিরোনামঃ
নাসিক ১২ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুম অসুস্থ ; হাসপাতালে ভর্তি সেনাবাহিনীর অভিযানে ২ যুবককে আটক অপহরণ করে মুক্তিপন দাবী, অপহরণকারী চক্রের নারীসহ ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযান নারায়ণগঞ্জে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে চালু হয়েছে ‘বিনা লাভের বাজার সেনা সদস্য হত্যা মামলায় ৩ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড যুবদলে নেতা শাওন হত্যা, শামীম ওসমানসহ ৫২ জনের নাম উল্লেখ্য করে মামলা  দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্সের অভিযান, ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা  আওয়ামীলীগ নেতা ও রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ছাত্র আন্দোলনে নিহত হৃদয়ের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন 

বন্দরে তিনদিন নির্যাতনের পর নাইটগার্ডকে পিটিয়ে হত্যা

নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জঃ

বন্দরে অটো চুরির ঘটনায় নাইটগার্ডকে নির্যাতনের পর পিটিয়ে হত্যা করেছে গ্যারেজ মালিক আক্তার ও তার সহযোগীরা। তিনদিন পর রোববার ভোরে নিহত নাইটগার্ড সিরাজুল ইসলাম (৬৫) লাশ গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নাইটগার্ড সিরাজুল, মুছাপুর গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে জহরপুর এলাকায় আক্তার হোসেনের মালিকানাধীন অটোরিকশা গ্যারেজে চুরির ঘটনা ঘটে। তার পর থেকে আক্তার ও তার লোকজন নাইটগার্ড সিরাজকে গ্যারেজে আটক করে বেঁধে রেখে নির্যাতন চালালে রোববার ভোরে তার মৃত হয়েছে বলে এলাকাবাসী ও পরিবারের অভিযোগ।

স্থানীয়রা জানান , উপজেলা মুছাপুর ইউপির জহরপুর এলাকার আক্তার হোসেনের মালিকানাধীন অটোরিকশা গ্যারেজে নাইটগার্ড হিসাবে কাজ করতেন পাশ্ববর্তী মুছাপুর গ্রামের বৃদ্ধ সিরাজুল ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার রাতে কৌশলে গ্যারেজ থেকে ৬ টি অটো চুরি করে নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ একটি চোরের দল। এ ঘটনার জের ধরে নাইটগার্ড সিরাজকে গত তিনদিন যাবত গ্যারেজে আটক করে বেঁধে নির্যাতন চালায় গ্যারেজ মালিক আক্তার, তার ছেলে অর্ণপ, মহিন, রাজু ও ৬ অটো চালক। নির্যাতনের পর শনিবার রাত আড়াই টার দিকে নাইটগার্ড সিরাজুল ইসলামের মৃত্য হয়। এ খবর পেয়ে রোববার সকালে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছেন।

নিহতের ছেলে ইউসুফ ও মেয়ে শিল্পি জানান, চুরির ঘটনার পর শুক্রবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও গ্যারেজ মালিক আক্তার ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঞ্জু মেম্বার বিচারের কথা বলে বাবাকে গ্যারেজে আটক করে রেখে যায়। পরে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছে তারা। শনিবার রাত আড়াই টার দিকে বাবা আমাদের সঙ্গে কথা বলবে বলে আক্তার বাড়িতে খবর পাঠায়। পরে উপস্থিত হয়ে দেখি বাবার লাশ গ্যারেজের ভেতরে পড়ে আছে। পুলিশের দায়িত্ব অবহেলার কারণে আমার বাবাকে তারা পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।

কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সাব্বির রহমান বলেন, নাইটগার্ড বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন ।

খবরটি সবার সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও খবর...।