নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জে বাবার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে প্রতারণা করে ছোট ভাইয়ের ভাগের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়েছেন বড় ভাই মোঃ জহিরুল ইসলাম খোকন। আর এই প্রতারণার সহযোগী হিসেবে রয়েছেন তার শশুর কফিল উদ্দিন ও খালা শাশুড়ি কুলসুম। এ বিষয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি প্রতারণা মামলা করেন ছোট ভাই মোহাম্মদ মাহমুদুন নবী মাসুম। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী তিনজনকে আসামি করে মামলা করলেও সি আই ডি প্রতিবেদনে দুইজনকে বাদ দিয়ে মামলার তদন্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হয়। যার ফলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল ইসলাম খোকনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ জেলা সি আই ডি প্রতিবেদন থেকে বাদ পড়া দুইজন প্রতারক জহরুল ইসলাম খোকনকে জেল থেকে বের করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন ও মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মাহমুদুন নবী।
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ মাহমুদুন নবী মাসুম বলেন, গত ১৬ এপ্রিল বুধবার নিজ বাড়ি থেকে এএসআই আমিরুল ইসলাম আসামি জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। প্রতারক জহিরুলকে গ্রেফতার করার পর থেকেই সি আই ডি প্রতিবেদন থেকে বাদ পড়া তার শশুর এবং খালা শাশুড়ি একাধিকবার আমাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তারা আমাকে আরো বলে যে জহিরুলকে জেল থেকে বের করার পর আমার নামে মিথ্যা মামলা দিবে ও আমাকে হুমকি প্রদান করে যাচ্ছে মামলা উঠানোর জন্য। আমি যদি মামলা না উঠাই তাহলে আমাকে মেরে ফেলবে বলে চলে যায়। তাই আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই আমার পৈত্রিক সম্পত্তির নিজের অংশ বুঝে পাওয়ার জন্য মামলা করা কী ভুল হয়েছে? তাই আমি চাই পুনরায় তদন্ত করে সি আই ডি প্রতিবেদন থেকে বাদ পড়া কফিল উদ্দিন ও কুলসুমের বিরুদ্ধে গ্রেফতার করার দাবি জানাচ্ছি। নাহলে আমার যেকোনো সময় এই দুজনের ধারা বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, তাদের উস্কানিতে আমার পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগের অংশ জহুরুল ইসলাম একাই ভোগ করে যাচ্ছেন। যার কারণে আমি আমার ন্যায্য অধিকার ও ভাগের অংশ দাবি করায় আমাকে না বুঝিয়ে দিয়ে বরং আমাকে হুমকি প্রদান করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, জহিরুল ইসলাম ও মাহমুদুল নবীর বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা ও জালকুড়ি পশ্চিম পাড়া প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। এই ঘটনাটি খুবই ন্যাকারজনক। পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ সমান ভাবে ২ ভাইয়ের। কিন্তু জহিরুল ইসলাম তা একাই ভোগ দখল করে আসছে দীর্ঘদিন। যার ফলে মাহমুদুন নবী তার ভাগে অংশ না বুঝে পাওয়ায় আদালতে মামলা করেন। আমরা যতদূর জানতে পেরেছি জহিরুল ইসলাম তার শশুর ও তার খালা শাশুড়ির প্ররোচনায় একাই সকল সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাদের একজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বলেন, জহিরুল দীর্ঘদিন এই সম্পত্তি একাই ভোগ করে কোটি টাকার উপরে মালিক বনে গেছেন। যার কারণে তিনি রাজার হালে জীবন যাপন করছেন। জহিরুলের ছোট ভাই সহজ সরল মানুষ বলে তাকে এইভাবে ঠকাচ্ছেন তিনি। এ বিষয়ে এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা কথা বলতে চাইলে তাদেরকে টাকা দিয়ে কিনে নেয় অথবা অকথ্য ভাষায় কথা বলে যার কারণে কেউ এবিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। এছাড়া টাকার গরম দেখিয়ে জহিরুল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের হাত করে রেখেছেন। তাই আদালতের কাছে আমাদের একটাই আবেদন থাকবে মাহমুদুন নবীর তার ভাগের অংশ যেন সঠিকভাবে বুঝে পায়।
Leave a Reply