বৃহস্পতিবার, ১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
শিরোনামঃ
নাঃগঞ্জ জেলা প্রশাসকের উদ্যােগে দুর্বারগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের সংস্কার কাজ  রূপগঞ্জে চাঁদাবাজির অভিযোগে ১২ জন হিজড়াকে গ্রেপ্তার  সোনারগাঁয়ে শব্দদূষনের দায়ে তিন যানবাহনকে জরিমানা নারায়ণগঞ্জে বেলী ফুড নামে অবৈধ কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন  শহরে শিক্ষার্থীদের উপর অটোচালকদের হামলা, আহত ২০, তিন ঘন্টা সড়ক অবরোধ  বন্দরে জামায়াতের মঈনুদ্দিন আহমাদের গণসংযোগ  বন্দর উপজেলায় শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত আমরা বিশ্বাস করি এবারের পূজা অত্যন্ত সুন্দর হবে,দেশ বিদেশের সকলকে আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি: ডিসি আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিনামূল্যে বিউটিফিকেশন কোর্সের উদ্বোধন করলো মানব কল্যান পরিষদ আমরা বিভিন্ন ধর্মের হতে পারি, কিন্তু জাতিগতভাবে আমরা সবাই এক: মাসুদুজ্জামান মাসুদ

রাজনীতির ‘অগ্নিকন্যা’ মতিয়া চৌধুরীর আর নেই

নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জ: বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাবেক মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন; তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। শেরপুর-২ আসনের ছয়বারের সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরী আওয়ামী লীগ সরকারের কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মতিয়া চৌধুরীর মৃত্যু হয় বলে তার সাবেক একান্ত সচিব মো. শাহজালাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

মতিয়া চৌধুরী যখন সংসদ উপনেতা ছিলেন, তখন তার একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সরকারি কর্মকর্তা শাহজালাল। মতিয়া চৌধুরীর পরিবারের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে তার।

শাহজালাল জানান, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ মতিয়া চৌধুরী সপ্তাহখানেক আগে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছিলেন। বুধবার সকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে বেলা ১২টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শেরপুর-২ আসনের ছয়বারের সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরী ১৯৯৬, ২০০৯ ও ২০১৩ সালে তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালে তাকে সংসদ উপনেতার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে মতিয়া চৌধুরীর জন্ম। তার বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। ১৯৬৪ সালে সাংবাদিক বজলুর রহমানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

ইডেন কলেজে পড়ার সময় বাম ধারার ছাত্র রাজনীতিতে জড়ান মতিয়া। ১৯৬১-৬২ মেয়াদে তিনি ছিলেন ইডেন কলেজ ছাত্রী সংসদের ভিপি। ১৯৬৫ সালে তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হন।

১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফার আন্দোলনে জোরালো ভূমিকা ছিল মতিয়া চৌধুরীর। তখনকার পাকিস্তানি শাসকের বিরুদ্ধে অগ্নিঝরা বক্তৃার জন্য তাকে ‘অগ্নিকন্যা’বলা হত।

১৯৬৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন মতিয়া। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি আহতদের শুশ্রুষায় নিজেকে নিবেদিত করেন।

পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেওয়া মতিয়া স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তারও হয়েছেন।

সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভূমিকার জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয়।

খবরটি সবার সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও খবর...।