সোমবার, ১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
শিরোনামঃ
আমাদের সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অস্ত্র উদ্ধার ও জাল টাকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ডিসি সিদ্ধিরগঞ্জে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নারীর পারে বিচ্ছিন্ন  মাসুদুজ্জামানের পক্ষে ফরাজীকান্দা থেকে কলাগাছিয়া পর্যন্ত গণসংযোগে জনতার ঢল বৈষম্যবিরোধী হত্যা মামলা সহ ৫টি মামলায় সাবেক মেয়র আইভীর জামিন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে সিজারিয়ান সেবা চালু সিদ্ধিরগঞ্জে পি.এম নিটেক্সের শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ক্ষোভে মালিকপক্ষ গার্মেন্টস বন্ধের ঘোষণা সিদ্ধিরগঞ্জে এক তরুনীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ সাইনবোর্ডে তিন সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে ফতুল্লা প্রেসক্লাবের প্রতিবাদ সভা মাসুদুজ্জামানকে রেকর্ড সংখ্যক ভোটে বিজয়ী করার ঘোষণা  গিয়াসউদ্দিনের সাথে সাক্ষাৎ করলেন মান্নান 

রাজনীতির ‘অগ্নিকন্যা’ মতিয়া চৌধুরীর আর নেই

নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জ: বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাবেক মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন; তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। শেরপুর-২ আসনের ছয়বারের সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরী আওয়ামী লীগ সরকারের কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মতিয়া চৌধুরীর মৃত্যু হয় বলে তার সাবেক একান্ত সচিব মো. শাহজালাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

মতিয়া চৌধুরী যখন সংসদ উপনেতা ছিলেন, তখন তার একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সরকারি কর্মকর্তা শাহজালাল। মতিয়া চৌধুরীর পরিবারের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে তার।

শাহজালাল জানান, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ মতিয়া চৌধুরী সপ্তাহখানেক আগে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছিলেন। বুধবার সকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে বেলা ১২টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শেরপুর-২ আসনের ছয়বারের সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরী ১৯৯৬, ২০০৯ ও ২০১৩ সালে তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালে তাকে সংসদ উপনেতার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে মতিয়া চৌধুরীর জন্ম। তার বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। ১৯৬৪ সালে সাংবাদিক বজলুর রহমানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

ইডেন কলেজে পড়ার সময় বাম ধারার ছাত্র রাজনীতিতে জড়ান মতিয়া। ১৯৬১-৬২ মেয়াদে তিনি ছিলেন ইডেন কলেজ ছাত্রী সংসদের ভিপি। ১৯৬৫ সালে তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হন।

১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফার আন্দোলনে জোরালো ভূমিকা ছিল মতিয়া চৌধুরীর। তখনকার পাকিস্তানি শাসকের বিরুদ্ধে অগ্নিঝরা বক্তৃার জন্য তাকে ‘অগ্নিকন্যা’বলা হত।

১৯৬৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন মতিয়া। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি আহতদের শুশ্রুষায় নিজেকে নিবেদিত করেন।

পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেওয়া মতিয়া স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তারও হয়েছেন।

সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভূমিকার জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয়।

খবরটি সবার সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও খবর...।