নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জঃ
বন্দর প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে নিহত আবুল হাসান স্বজনের লাশ আদালতের নির্দেশে কবর থেকে তোলা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারি কমিশনার মো. রাহাত উজ জামানের উপস্থিতিতে আড়াই মাস পর নবীগঞ্জ বাগ-ই জান্নাত করবস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়। নিহত আবুল হাসান স্বজন বন্দর ইউপির কুশিয়ারা গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে।
লাশ উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাহাত উজ জামান। গত ৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় ছাত্র বিক্ষোভে যোগ দেন আবুল হাসান স্বজন। দুপুর দেড়টার দিকে চাষাঢ়ার ল্যাব এইড মোড়ে গুলিবিদ্ধ হলে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৬ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান স্বজন। পরে তার লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই নবীগঞ্জ বাগ-ই জান্নাত করবস্থানে দাফন করা হয়।
নিহতের বড় ভাই অনিক বলেন, গত ৫ আগস্ট দুপুরে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া ল্যাব এইড হাসপাতালের সামনে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। সাড়ে অপারেশনের পর পেট থেকে গুলি বের করা হয়। পরদিন ৬ আগস্ট সন্ধ্যায় আইসিইউতে মারা যায় স্বজন।
মৃত্যুর ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট রাতে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় তদন্তের জন্য স্বজনের লাশ তোলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে বিকালে পুনরায় দাফন করা হবে।
’বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সংগঠক ফারহানা মানিক মুনা বলেন, ‘আমরা আবুল হাসান স্বজন সহ নারায়ণগঞ্জের যত শহীদ হয়েছে ওই আন্দোলনে, তাদের ন্যায় বিচার নিশ্চিতের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে আমাদের তৎপরতা অব্যহত রয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি বহু চিহ্নিত হত্যাকারীরা এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করা এখন আমাদের অন্যতম লড়াই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক ফরিদ আহম্মদ বলেন, ‘মামলার তদন্তের জন্য লাশটি উত্তোলন করা হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তার করতে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।’
Leave a Reply