সোমবার, ১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
শিরোনামঃ
ওসমান হাদী হত্যা চেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সালের স্ত্রী-শ্যালকসহ তিনজন ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক গুপ্ত রাজনীতির যে ট্র্যাডিশন, তা এখন দৃশ্যমান হচ্ছে: রাজিব বুড়িগঙ্গায় লঞ্চের সঙ্গে সংঘর্ষে ডুবলো বাল্কহেড, সাঁতরে বাঁচলেন ৫ শ্রমিক শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে যুবশক্তির আলোচনা ও দোয়া মাহফিল নারায়ণগঞ্জে সুজনের গোল টেবিলে বক্তারা, “নির্বাচন চাই পরিবর্তনের লক্ষ্যে” নির্বাচনকে বানচাল করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই এসব গুলি ও সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটছে: টিটু সেলিম ওসমানের শেল্টারদাতা বিএনপির প্রার্থী, এনসিপি নেতার স্ট্যাটাস আমরা সমস্ত ষড়যন্ত্রকে রুখে দিব ইনশাআল্লাহ: মাসুদুজ্জামান বন্দরে গোয়াল ঘড় থেকে এক রাখালের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার  এই বাংলাদেশের অমূল্য রত্ন বেগম খালেদা জিয়া: মান্নান

চাঁদপুরের দুই গ্রামে ঈদ উদযাপন করেছেন

নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জঃ

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের সাদ্রা ও শমেসপুর গ্রামের কিছু অংশের মানুষ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করছেন। আফগানিস্তান, নাইজার ও মালির সঙ্গে মিল রেখে তাদের এই সিদ্ধান্ত।

হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফ মাদ্রাসা মাঠে আজ রোববার সকালে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন সাদ্রা দরবার শরিফের পীর মুফতি আল্লামা যাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী।

এদিকে, গত বছরের মতো এবারও বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আগাম ঈদ উদ্‌যাপনকারীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তাদের মধ্যে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে সাদ্রা দরবারের বড় পীরজাদা পীর ড. মুফতি বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী বলেন, ‘হানাফি, মালেকি ও হাম্বল-এ তিন মাজহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, পৃথিবীর পশ্চিম প্রান্তেও যদি চাঁদ দেখা যায়, আর সে সংবাদ যদি নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তেও পৌঁছায়, তাহলে পূর্ব প্রান্তের মুসলমানদের জন্য রোজা রাখা ফরজ এবং ঈদ করা ওয়াজিব। গতকাল শনিবার আফগানিস্তান, নাইজার ও মালিতে চাঁদ দেখা গেছে। ওই সংবাদ নির্ভরযোগ্য ভিত্তিতে প্রাপ্ত হয়ে আজ আমরা ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করছি। পাশাপাশি ঢাকার সদরঘাটের খানকা, আসকোনা এবং পটুয়াখালীর বদরপুর দরবার শরিফে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। চাঁদ দেখার তথ্য যথাসময়ে পৌঁছে দিতে না পারায় অনেক গ্রামে ঈদ উদ্‌যাপন হয়নি। তারা পরে ঈদ উদ্‌যাপন করবে।’

তবে, সাদ্রা দরবার শরিফের আরেক পীর মো. আরিফ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ঈদ করছি না। আমার চাচারা ঈদ উদ্‌যাপন করলেও আমাদের কাছে তা গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে না। আমরা সোমবার ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করব।’

স্থানীয়রা জানান, সারা দেশে যখন পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়, তখন সাদ্রা ও শমেসপুর গ্রামে এক দিন আগে থেকে রোজা পালন শুরু হয়। আজ রোববার যখন এ দুটি গ্রামের একটি অংশে ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করা হচ্ছে, তারা পালন করেছে ২৯ রোজা। আর বাকি অংশ যখন সোমবার ঈদ উদ্‌যাপন করবে, তাদের পালন করা হবে ৩০ রোজা।

আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে প্রতিবছর চাঁদপুরের তিনটি উপজেলার ৪০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করা হয়। সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা ৯৩ বছর ধরেই প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে সাদ্রাসহ ৪০টি গ্রামে ঈদ উদ্‌যাপন করে থাকে।

সাদ্রা ছাড়াও এক দিন আগে ঈদ উদ্‌যাপন করা গ্রামগুলো হলো-হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বড়কুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।

খবরটি সবার সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও খবর...।