বুধবার, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
শিরোনামঃ
ফতুল্লায় মনন এর বাংলা বর্ষবরণ সোনারগাঁয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী পিয়ালসহ তিনজন গ্রেপ্তার  নববর্ষ উপলক্ষে ফুটবল, ঘুড়ি উৎসবসহ গ্রামীণ খেলাধুলার আয়োজনে মহানগর বিএনপি মানবিক ডিসি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিয়ার গ্রিন এন্ড ক্লিন কর্মসূচির কার্যক্রম অব্যাহত তারেক রহমান আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, জনগণের দুঃখ-দুর্দশা জানতে হবে, জনগণের কাছে যেতে হবে–গিয়াসউদ্দিন সিদ্ধিরগঞ্জে সাড়ে ৩ কোটি টাকার মামামাল ডাকাতির ঘটনায় ১ জন গ্রেপ্তার  বন্দরে ওয়ারেন্টভুক্তসহ তিন আসামি গ্রেপ্তার এই উৎসবকে প্রাণবন্ত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে: ডিসি আড়াইহাজারে গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা  ফতুল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার 

সিদ্ধিরগঞ্জে তিন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ইয়াসিন ৫ দিনের রিমান্ডে 

নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জ: 

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একই পরিবারের তিনজনকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া স্বামী মো. ইয়াসিনকে (২৪) পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেলায়েত হোসেনের আদালত এই আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।

এ পুলিশ পরিদর্শক বলেন, “ত্রিপল হত্যায় জড়িত সন্দেহে ইয়াসিনকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে চেয়েছিল সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।”

গ্রেপ্তার ইয়াসিন পেশায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক। তার বাড়ি সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি দক্ষিণপাড়া এলাকায়।

গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে মিজমিজি পশ্চিমপাড়ার একটি বাড়ির সামনে রাস্তার পাশের ময়লার স্তুপ থেকে তার স্ত্রী লামিয়া আক্তার (২২), চার বছরের ছেলে রাফসান লাবিব এবং স্ত্রী’র বড়বোন স্বপ্না আক্তারের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ হত্যাকাণ্ডের পরপরই লামিয়ার স্বামী ইয়াসিনকে আটক করা হয়। রাতে নিহত লামিয়ার মেজো বোন মুনমুন আক্তার থানায় গিয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় ইয়াসিন ছাড়াও তার বাবা মো. দুলাল (৫০) ও বোন মোসা. শিমুকে (২৭) আসামি করা হয়েছে।

মামলায় মুনমুন উল্লেখ করেন, লামিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন এবং পাঁচ বছর আগে ইয়াসিনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ইয়াসিন কোনো কাজ করতেন না এবং সংসারের খরচের জন্য প্রায়ই লামিয়াকে নির্যাতন করতেন। মাদকাসক্ত ইয়াসিন প্রায় সময় স্ত্রীকে হত্যার হুমকিও দিতেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

মুনমুন দাবি করেন, ইয়াসিন তার বাবা ও বোনকে সঙ্গে নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার দুই বোন এবং ভাগ্নেকে হত্যা করেন। পরে মরদেহগুলো গুম করতে আবর্জনার স্তুপে চাপা দিয়ে রাখেন।

ঘটনার আগে ৭ এপ্রিল দুপুরে মুনমুন তার বোনদের সঙ্গে শেষবারের মতো কথা বলেন। এরপর থেকে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনূর আলম বলেন, “মামলার তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে ধারণা করছি। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের পেছনের মোটিভ ও অন্য কারও জড়িত থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

খবরটি সবার সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও খবর...।