বুধবার, ৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
শিরোনামঃ
লন্ডনের উদ্দেশ্য ঢাকার বিমানবন্দর ত্যাগ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ আহত ১৫ সিদ্ধিরগঞ্জে শেখ রেহেনা,জয়,পুতুল ও শামীম ওসমানসহ আরো ৩টি মামলা দায়ের সিদ্ধিরগঞ্জে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে দুই প্রকৌশলী প্রত্যাহার ফতুল্লায় ‘আমরা মোহামেডান’ কেন্দ্রীয় কমিটির শীতবস্ত্র বিতরণ জালকুড়ি বাস স্ট্যান্ডে সড়কের পাশে অবৈধ  দোকান ও মাছ বাজার উচ্ছেদের দাবী এলাকাবাসীর  ফরিদপুরে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ৫ জনই নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় চালককে হত্যা করে দুটি ইজিবাইক ছিনতাই করে নিলো দুর্বৃত্তরা  হত্যা মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খান রূপগঞ্জ মধুখালিতে বাদল ও জামানের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে আক্তার ; প্রাণে মেরে লাশ গুম করার হুমকি

হত্যা মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খান

 নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জ: 

নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খানকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছে আদালত।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সারে ১১টার দিকে এই রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত মমিনুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন।রায়ের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান।

এর আগে, সকাল ১১টায় আদালতে আনা হয় জাকির খানকে। এসময় হাজারো কর্মী সমর্থক আদালত প্রাঙ্গনে উপস্থিত হলে পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার । এ হত্যাকান্ডের পর তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি ও বর্তমান তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব এবং নিহতের বড় ভাই তৈমুর আলম খন্দকার বাদী হয়ে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নামে ফতল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মোট ৯ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়। পরবর্তিতে সিআইডির এএসপি মসিহউদ্দিন দশম তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ প্রায় ৩৪ মাস তদন্ত শেষে তিনি ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারী আদালতে ৮ জনকে আসামি করে চার্জশীট দাখিল করেন। এতে মামলা থেকে সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন, তার শ্যালক জুয়েল, শাহীনকে অব্যাহতি দিয়ে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জাকির খান, তার দুই ভাই জিকু খান, মামুন খানসহ মোট ৮ জনকে আসামি উল্লেখ করা হয়।

  • এ চার্জশিটে মামলার প্রধান আসামি গিয়াস উদ্দিনকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ায় মামলার বাদী তৈমুর আলম খন্দকার চার্জশিটের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৪ জানুয়ারি আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। নারাজি পিটিশনে তৈমূর আলম বলেছিলেন, ‘গিয়াসউদ্দিনই সাব্বির আলম হত্যাকাণ্ডের মূল নায়ক। গিয়াসউদ্দিন ও তার সহযোগীদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা একটি গোঁজামিলের চার্জশিট দাখিল করেছেন।’এরপর থেকে ৫ বছরের অধিক সময় ধরে নারায়ণগঞ্জ বিচারিক হাকিম আদালতে (ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট) মামলার শুনানি চলে আসছিল। গত ২০১১ সালের অক্টোবর মাসে তৈমুর আলম খন্দকার আদালতে দাখিলকৃত না রাজি পিটিশনটি আবেদন করে প্রত্যাহার করে নেন। নারাজি পিটিশন প্রত্যাহারের কারণে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন এখন আর মামলায় অভিযুক্ত নেই। ফলে সিআইডি ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে যে ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন তার উপর ভিত্তি করেই মামলাটি পরিচালিত হচ্ছে।
খবরটি সবার সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও খবর...।