নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় ‘মোবাইল চার্জার বিস্ফোরণের’ পর ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পোশাক শ্রমিক মো. আলাউদ্দিন মারা গেছেন। তার দুই কন্যা ও মা এখনো রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাত পৌনে নয়টার দিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলাউদ্দিনের মৃত্যু হয়। তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর কর হয়েছে।
মারা যাওয়া আলাউদ্দিনের শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলেও জানান এ চিকিৎসক।
পোশাক শ্রমিক আলাউদ্দিনের তার দুই মেয়ে শিফা আক্তার (১৪) ও সিমলা আক্তার (৪) এবং আলাউদ্দিনের মা জরিনা বেগম (৬৫) যথাক্রমে শরীরের ১২ শতাংশ, ৩০ শতাংশ এবং ২০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর আগে গত শনিবার ভোরে সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের পাটাত্তা এলাকায় ছয়তলা বাড়ির তিনতলার একটি কক্ষে আগুনের ঘটনা ঘটে।
সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক রাশেদুল হাসান খান বলেন, ওই এলাকার আজিম উদ্দিনের ছয়তলা বাড়ির তিনতলার একটি কক্ষে চারজন ভাড়া থাকেন। ভোরে চার্জে লাগানো মোবাইলের চার্জার বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, “শুরুতে আগুনের বিষয়ে তাদের কেউ জানাননি। পরে খবর পেয়ে দুপুরে তাদের একটি দল বাড়িটি পরিদর্শন করেছেন।
“পরিবারটি যে কক্ষে ভাড়া থাকতেন তার পাশেই ছোট রান্নাঘর। রান্নাঘরে তিতাসের লাইনের লিকেজ থেকে ঘরে গ্যাস জমা ছিল বলে ধারণা করছি।”
আলাউদ্দিনের বোন সালমা আক্তার বলেন, তার ভাই কাঁচপুর এলাকার ‘অনন্ত গার্মেন্টস’ নামের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। ভোরে সাড়ে ৪টার দিকে আলাউদ্দিন টয়লেট থেকে ঘরে কিছু বিস্ফোরণের শব্দ পান। তিনি ঘরে ঢুকে দেখেন, বিছানায় আগুন এবং তার মা ও দুই মেয়ের শরীর ঝলসে গেছে। আগুন নেভাতে গিয়ে আলাউদ্দিনও দগ্ধ হন।
দগ্ধরা ভবনের নিচে নেমে বের হতে চাইলে, বাড়ির গেইটে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান বলে জানান সালমা।
Leave a Reply