ষ্টাফ রিপোর্টার:
ফতুল্লার কুতুবপুর লামাপাড়া নয়ামাটি এলাকায় স্বামী মুন্না কর্তৃক স্ত্রীকে হত্যা করে শিশু সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজ বাড়িতেই মুন্না তার স্ত্রী মোসা.ফিজাকে হত্যা করে ঘরের জানালার গ্রিলের মধ্যে ওড়না পেচিয়ে ঝুলিয়ে রাখে।
হত্যাকান্ডের শিকার ফিজার বাবা মোহাম্মদ আলী জানান,প্রায় ৫ বছর পুর্বে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক কুতুবপুর নয়ামাটি এলাকার মনু মিয়ার ছেলে আসাদুজ্জামান মুন্নার সাথে তার একমাত্র মেয়ে ফিজাকে বিবাহ দেন। তাদের সংসাওে মোরসালিন নামে ৩ বছরের এক পুত্র সন্তানও রয়েছে।
তিনি বলেন,বিয়ের পর থেকেই মুন্নার আচরন ভাল ছিলনা। কারনে অকারনে তিনি তার মেয়েকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। এ নিয়ে একাধিকবার পারিবারিকভাবে বিচারও হয়েছে। এ নিয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারনডায়েরী ও অভিযোগও করা হয়েছিলো মুন্নার বিরুদ্ধে। প্রায় ৬ মাস পুর্বে আমাদের সবাইকে মুন্না বলে যে,পুর্বের মত আর কোন খারাপ আচরন করবেনা আমার মেয়ের সাথে। এ কথা বলে আমার মেয়েকে পুনরায় তাদের বাড়িতে নিতে আসেন। আমরা পরিবারের সবাই একত্রিত হয়ে একমাত্র নাতি মোরসালিনের কথা চিন্তা করে আমার মেয়ে ফিজাকে মুন্নার সাথে তাদের বাড়িতে পাঠাই। অদ্য বৃহস্পতিবার বিকেলে আমার মেয়েকে মারধর করে ঘরের গ্রিলের সাথে ওড়না পেচিয়ে ঝুলিয়ে রেখে মুন্না তার মা ও বোনদের নিয়ে এবং আমাদের ৩ বছরের নাতি মোরসালিনকে নিয়ে গা ঢাকা দেয়।
এ দিকে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক মো.ইমানুর। তিনি লাশের সুরতহাল দেখে লাশটি পোষ্ট মর্টেম করার জন্য নগরীর ১০০ শষ্যা হাসপাতালে পাঠায়।
অপরদিকে গৃহবধু ফিজাকে হত্যা করে ঘরের জানালার গ্রিলের সাথে ওড়না পেচিয়ে ঝুলিয়ে রাখার পর স্থানীয়রা বলেন, অত্র এলাকার সবচেয়ে খারাপ পরিবার হিসেবেই পরিচিত মুন্নাগং। মুন্নার বাবা মনু মিয়া একজন চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী,তার চাচাতো ভাই চুন্নু ও রানা মোল্লা একাধিক মামলা রয়েছে। গত সপ্তাহে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মাহমুদ রনি ১০০ কেজি গাজাঁসহ মুন্নার অপর চাচাতো ভাইকে গ্রেফতার করেছিলো। আমরা চাই গৃহবধু ফিজা হত্যাকান্ডে তার স্বামী মুন্না ও তার পরিবারকে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হোক।
Leave a Reply