নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো: মাহমুদুল হক এর বদলির খবরে আবারও জেলা নাজির হতে দৌড়ঝাপ করছেন অর্থ আত্মসাৎ ও দূর্নীতির বরপুত্র আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কর্মরত আবুল হোসেন ওরফে শিকদার।
বিগত বছর গুলোতেও এমন দৌরঝাপ করেও কোনো সুবিধা নিতে পারেননি বারবার ব্যর্থ হয়েছেন। তার নিজস্ব আধিপত্য বিস্তারে অভিপ্রায়ে দূর্নীতিগ্রস্থ একাধিক সহযোগী মিলে জেলা প্রশাসক কার্যালয় পুরোনো নিয়ন্ত্রণে রাখতে হরহামেশাই গ্রুপিংয়ে ব্যস্ত থাকে এই সিকদার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ভাগ্যক্রমে অর্থের বিনিময়ে বহু দেন-দরবারের বিনিময়ে বেশকিছু দিন আগে জেলা প্রশাসনের নাজির পদ ভাগিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আলাদীনের চেরাগ পাওয়া মতো রাতারাতি অঢেল সম্পদের মালিক বনেছিলেন শিকদার।তার এইসব অপকর্ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জনের ফূল ফিরিস্তি জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিকদের হাতে এসে পৌঁছেছে।
এতো সামান্য পদে কর্মরত থেকে সামান্য বেতন স্কেলে অঢেল সম্পদের পাহাড় সমান মালিক কিভাবে হলেন তিনি, এখন জনমনে একটাই প্রশ্ন?
এর আগে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো: জসিমউদ্দিন যোগদানের কয়েকদিন পরেই বিতর্কিত এই শিকদারকে নানান অনিয়মে জর্জরিত হওয়ার প্রমান পাওয়ায় অন্য শাখায় বদলীয় করা হয়।
তবে তিনি কুকর্মে থেমে থাকেননি এর পরবর্তীতে ততকালীন জেলা প্রশাসক মো: জসিমউদ্দিন বদলি হলে আবারো নাজির হওয়ার খায়েশে দৌড়ঝাপ চালিয়েছে এই শিকদার কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি। এজন্য তিনি মোটা অংকের অর্থের লেনদেন করছে বলেও গুঞ্জন ছড়িয়েছে জেলা প্রশাসনের সর্বমহলে ।
তথ্যসূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নাজিরের দায়িত্বে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজে বিপুল পরিমাণে আর্থিক লাভবান হয়েছেন, নামে বেনামে জালকুড়িতে একাধিক বহুতল বাড়ি, মার্কেট, প্লট, এমনকি শহরের প্রানকেন্দ্র উত্তর চাষাড়ায় একাধিক লাক্সারি ফ্ল্যাট সহ অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন শিকদার।
এছাড়াও স্ত্রী- সন্তান এমনকি শশুর শালা, সমন্ধির নামেও অনেক সম্পত্তি গড়েছেন দুদকসহ জনসাধারণের চোখ এড়াতে। শহরের জালকুড়িতে বহুতল বাড়ি ছাড়াও আরও কয়েকটি দ্বিতল সহ একাধিক সেমি পাকা বাড়ি সন্ধান মিলেছে তথ্য সূত্রে।
এতকিছু থাকা সত্বেও লোকদেখানো ও রহস্যজন কারনে জেলা প্রশাসকের বিশাল কোয়ার্টারের পুরো এক ফ্লোর নিয়ে বসবাস করেন তিনি। এখানেও দূর্নীতি, তিনি সরকারিভাবে যতটুকু কোয়ার্টার পাওয়ার কথা তিনি তার চেয়েও বহুগুন দখল করে আছেন বলপ্রয়োগের মাধ্যমে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের বহু দূর্নীতি অপকর্মের মূল হোতা আবুল হোসেন শিকদার ওরফে সিকদার।
তথ্য সূত্রে আরও জানা গেছে, সূদুর বরিশাল জেলা থেকে চাকুরির সুবাদে আসা আবুল হোসেন শিকদার নানা অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে জালকুড়িতে ৫ তলা বাড়ি,একাধিক সেমিপাকা বাড়ি,প্লট মার্কেটসহ ওই এলাকায় অনেক ভূসম্পত্তির মালিক বনেছেন।
তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ পেয়ে ততকালীন জেলা প্রশাসক মো: জসিমউদ্দিন যোগদানের কয়েকদিন পরেই তাকে নাজির পদ থেকে অন্যত্র বদলী করা হয়। সে সময়ে বহু স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকা তার বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদ পরিবেশ করা হলেও, অন্য শাখা বদলি হয়ে এখনো তবিয়তে নানার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তার মতের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তাকে নানানভাবে বদলি ও হেনস্তার বহু তথ্য রয়েছে বলে একাধিক সূত্রের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
গত ৫ আগষ্টের পর ছাত্র জনতার গন আন্দোলনের পরে সুকৌশলে তার এহেন চরিতার্থ জাহিল করতে নতুন কৌশলে নাজির হতে মরিয়া হয়েও ব্যর্থ হয়েছে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হকের সুকৌশলী প্রচেষ্টা ও দূরদর্শিতার ফলে। কিছুদিন চুপচাপ থাকলে তার বদলি আদেশের খবরে ফের মরিয়া হয়ে উঠেছে সিকদার।
তবে সম্প্রতি সময়ে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক এর বদলি হওয়ায় ফের অশুভ শক্তির মাধ্যমে সেই বিতর্কিত নাজির আবুল হোসেন ওরফে শিকদার আবারো নাজির হওয়ার খায়েশে মোটা অংকের অর্থ বিনিয়োগ করছে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে হরহামেশাই কানাঘুষা চলছে বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
এতো বিস্তর দূর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্বেও বর্তমান জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হকের বদলির সংবাদে কোনো ধরনের তোয়াক্কা না করে ফের নাজির পদ ভাগিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে শিকদার।
এদিকে নারায়ণগঞ্জে সদ্য নতুন পয়দায়িত জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞাকে দায়িত্ব পালনে বিতর্কিত করতে তিনি মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন, যে কর্মচারী সবসময়ই সুবিধাবাদী, অন্যায়কারী দূর্নীতিগ্রস্ত, অদক্ষ বিতর্কিত আবুল হোসেন শিকদারকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজিরের পদ বাগিয়ে নিয়ে সফল হলে পুরো জেলাবাসীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
তার এ অবৈধ সম্পদের তদন্তে দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা সহ অবৈধ উপায়ে অঢেল সম্পদ অর্জনের সুনির্দিষ্ট তথ্য উপাত্তের অনুসন্ধান করে আইনি ব্যবস্থার গ্রহন করা এখন সময়ের দাবি।
Leave a Reply