নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জঃ
চীনে রহস্যময় হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি) প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই ভারতের তেলেঙ্গানা সরকার নাগরিকদের জন্য করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ক একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সরকার জানিয়েছে, তেলেঙ্গানার স্বাস্থ্য দপ্তর ডিসেম্বর জুড়ে শ্বাসযন্ত্রজনিত সংক্রমণের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছে, ২০২৩ সালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়েনি।সরকার আরও জানিয়েছে, তেলেঙ্গানায় এখন পর্যন্ত এইচএমপিভি-এ আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। খবর দ্য লাইভমিন্টের।
শুক্রবার, ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস-এর ড. অতুল গোয়াল সাধারণভাবে সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
এইচএমপিভির উপসর্গ: এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সাধারণত কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ হওয়া এবং শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা যায়।
সরকারের নির্দেশিত করণীয় বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে হাঁচি বা কাশির সময় মুখ ও নাক রুমাল বা টিস্যু দিয়ে ঢেকে রাখা।
বারবার হাত ধুয়ে নিন সাবান ও পানির সাহায্যে বা অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
ভিড় এড়িয়ে চলার প্রসঙ্গে বলা হয় ফ্লু-তে আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে কমপক্ষে এক হাত দূরত্ব বজায় রাখতে।
জ্বর, কাশি বা হাঁচি হলে জনসমাগমপূর্ণ স্থান এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।প্রচুর পানি পান করার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
বায়ু চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। অসুস্থ হলে বাড়িতে থাকা এবং অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ সীমিত করতে বলা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে বলা হয়েছে।
বর্জনীয় বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে, হাত মেলানো এড়িয়ে চলুন।টিস্যু বা রুমাল পুনরায় ব্যবহার না করা।
অসুস্থ ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন। মুখে বারবার হাত দেবেন না। প্রকাশ্যে থুথু ফেলবেন না। যথাযথ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া স্বেচ্ছা-চিকিৎসা নিবেন না।
এদিকে, কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভীণা জর্জ জানিয়েছেন, চীনে ভাইরাল জ্বর ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব নিয়ে রাজ্য সরকার গুরুত্বের সঙ্গে নজর রাখছে। তবে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই বলে আশ্বস্ত করে
তিনি বলেন, ‘আমরা চীনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছি। যদি কোনও প্রাদুর্ভাব এমন হয় যা অন্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা থাকে, আমরা তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।’
সুত্রঃ চ্যানেল ২৪।
Leave a Reply