নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জঃ
মোঃ মিঠুন মিয়াঃ
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া বলেন, নারায়ণগঞ্জে আমার ছয় মাসের দায়িত্বগ্রহণের কথা বলা হলেও আমি কর্মদিবস পেয়েছি ১১৪ দিন। বাকিগুলো বিভিন্ন সরকারি দিবস বা সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। একজন জেলা প্রশাসক হিসেবে আমার কোন ছুটি কাটানোর সুযোগ নেই, তবে একটি কর্মদিবসে আমি যে জনশক্তি নিয়ে কাজ করতে পারব, একটি ছুটির দিনে আমি সেই জনশক্তি পাবো না। আমার নারায়ণগঞ্জে কর্মসময় ছয় মাস বলা হলোও অনেকদিন বিভিন্ন ছুটির কারণে কাজ করতে পারেনি।
একজন জেলা প্রশাসক হিসেবে আমাদের কিছু রুটিন দায়িত্ব থাকে। সেগুলো সরকারের কাছে আমাদের জবাবদিহিতা করতে হয়। এর মধ্যে একটা অন্যতম হচ্ছে বিভিন্ন দিবস গুলো পালন করা। আমি আসার পর একুশে ফেব্রুয়ারি, ১৬ই মার্চ, ঈদুল ফিতর-আযহাসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন করেছি। দিবসগুলো কতটুকু মানুষের কাছে আকর্ষণীয় করতে পেরেছি সেটা জণগন বলবে। তারা নির্ণয় করবে আমি আমার দায়িত্ব কতটুকু পেরেছি।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জে জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণে ৬ মাস পূর্তিতে ‘মিট দ্যা প্রেস’ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা’র তত্ত্বাবধানে গত ছয় মাসে যেসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, চলমান আছে ও ভবিষ্যতে হবে সেগুলোর তথ্য প্রকাশ করা হয়।
এসময় ডিসি আরও বলেন, কোরআনে বলা হয়েছে, ‘বিচারে বসলে তোমার ন্যায্য কথা বলবে, যদিও বিচারাধীন ব্যক্তি তোমার নিকট আত্মীয় হয়।’ ৫২ তে ভাষার জন্য রক্ত ঝরেছে, একাত্তরের স্বাধীনতার জন্য রক্ত ঝরেছে, সর্বশেষ বৈষম্যের জন্য এই ২৪শে রক্ত ঝরলো। এতো রক্ত ঝরার পরও যেন আমরা সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলতে পারি।
ডিসি জাহিদুল ইসলাম আর বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসে একটি অংশ হয়ে থাকবে জুলাইয়ের স্মৃতিস্তম্ভ। আপনারা জানেন এই স্মৃতিস্তম্ভের জায়গা নির্বাচন করার পর মাত্র চার দিনে আমরা স্তম্ভটি নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমার সাথেই নির্মাণে যারা কাজ করছেন তারা দিনরাত ২৪ ঘণ্টা পরিশ্রম দিয়েছেন। স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের যে আয়োজন করা হয়েছে, এত বড় অনুষ্ঠান অন্য কোথাও হবে কিনা জানিনা। তবে আমরা করতে পেরেছি এটা আমাদের নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য সফলতা।আমরা সকলে বলি আমার ছেলে মেয়ে ভালো পড়ালেখা করবে ভালো রেজাল্ট করবে, কিন্তু আমরা এটা বলি না যে আমাদের ছেলেমেয়েদের ভালো মানুষ হতে হবে। আমাদের সবাইকে ছেলেমেয়েদের ভালো মানুষ হওয়ার শিক্ষা দিতে হবে। ছেলে মেয়েদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাটা জরুরি। সেই লক্ষ্যে আমরা নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি উপজেলায় কর্মশালা করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ট্রেইনার এই কর্মশালার দায়িত্ব ছিল।
আমরা নারায়ণগঞ্জকে পরিচ্ছন্ন সুন্দর করার জন্য ‘গ্রীন এন্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ’ কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলাম। মে মাসের ১০ তারিখ থেকে কর্মসূচি চালু হয়েছে। আমার টার্গেট নিয়েছিলাম নারায়ণগঞ্জের এক লক্ষ গাছ লাগাব। এবং ১০ জুলাই এর মধ্যে আমরা সেই টার্গেট পূরণ করেছি। তবে কর্মসূচি শেষ হয়েছে এর মানে এই নয় আমরা আর গাছ লাগাব না। আমরা গাছ লাগাতে থাকবো এই নারায়ণগঞ্জকে বাঁচাতে হলে সবুজায়নের কোন বিকল্প নেই। এছাড়া ১২৫ ট্রাক ব্যানার ফেস্টুন, ময়লা আবর্জনা অপসারণ করেছি। তবে এখনো নারায়ণগঞ্জ শহরটি পরিষ্কার হয়নি, এটিকে সকলের নিয়ে করতে হবে।
Leave a Reply