বৃহস্পতিবার, ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
শিরোনামঃ
নিখোঁজের ৫ দিন পর যুবলীগ নেতার লাশ নদী থেকে উদ্ধার নন্দলালপুরে প্রতারক জাহিদ হাসান ষড়যন্ত্রের ফাঁদে ফেলে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিউটিফিকেশন কোর্সের সমাপনী করলো মানব কল্যাণ পরিষদ ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিক্ষোভ  রূপগঞ্জে সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ  কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড পরিদর্শণে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত সোনারগাঁয়ে ৪ কেজি গাঁজাসহ ২ জন আটক ভারতের সাথে বাংলাদেশের সর্ম্পক নষ্ট হলে ‘ভারতের ক্ষতি হবে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত  সোনারগাঁয়ে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা বাংলা‌দে‌শে মাও. স্বাদের প্রবে‌শের অনুম‌তি চে‌য়ে প্রধান উপ‌দেষ্টা বরাবর আবেদন

সোনারগাঁয়ে ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হক বেকসুর খালাস

নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জ: 

সোনারগাঁও থানায় দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মামুনুল হককে বেকসুর খালাস দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল’র সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম এই রায় ঘোষনা করেন। এ সময় মামুনুল হক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালতের ভারপ্রাপ্ত সরকারি কৌঁসুলি মো. রোমেল মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাঁকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী এ কে এম ওমর ফারুক নয়ন জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছিল। আদালতকে তাঁরা বলেছিলেন যে পুরো বিষয়টি রাজনৈতিক যোগসাজশে সংঘটিত হয়েছে। এই মামলার বাদী শারীরিক পরীক্ষা করাতে রাজি হননি। কারণ, তিনি স্বীকার করেছেন, মামুনুল হক তাঁর বৈধ স্বামী। একই সঙ্গে বাদীর ছেলে সাক্ষ্য দিতে এসে বলেছিলেন, তাঁর মা মামুনুল হকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের তুলে এনে আটকে রেখে বলপ্রয়োগ করে মামলা করানো হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করে আসছিলেন। এ সময় পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রাখে। এরপর ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামুনুলকে। পরে এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

এদিকে চলতি বছরের ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে জামিন আবেদন করলে তৎকালীন বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর থেকে তিনি সোনারগাঁ থানার এই ধর্ষণ মামলায় জামিনে রয়েছেন।

খবরটি সবার সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও খবর...।