বুধবার, ১৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
শিরোনামঃ
আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শামীম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা দায়ের  দেশকে ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে মহানগর সেচ্ছাসেবী দলের বিক্ষোভ মিছিল  এতো রক্ত ঝরার পরও যেন আমরা সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলতে পারি: ডিসি আমরা খোঁজ নিচ্ছি কে কোথায় কিভাবে চাঁদাবাজির সাথে জড়িত, মাটির সাথে মিশিয়ে ফেলা হবে: গিয়াসউদ্দিন জেলা প্রশাসক হিসেবে দ্বায়িত্ব গ্রহণের ৬ মাস পূর্তি উপলক্ষ্যে “মিট দ্যা প্রেস” এর আয়োজন মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নান্নুকে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থেকে গ্রেপ্তার  নারায়ণগঞ্জ কে আজ থেকে চাদাঁবাজ-সন্ত্রাস মুক্ত ঘোষণা দিলেন গিয়াসউদ্দিন নাঃগঞ্জ হাজীগঞ্জে জুলাই শহীদের স্মরণে প্রথম স্মৃতিস্তম্ভ  উদ্বোধন  রাজীবের বক্তব্যের সমালোচনা, ইসলাম সম্পর্কে আরো স্টাডি করে বক্তব্য দেওয়া উচিত শহীদ আদিলের কবর জিয়ারতের মধ্যে দিয়ে নবগঠিত কমিটির যাত্রা শুরু 

মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নান্নুকে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থেকে গ্রেপ্তার 

নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জ: 

রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ ওরফে লাল চাঁদ (৩৯) হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নান্নুকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। সোমবার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাত একটার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে র‍্যাব-১০ কে সহযোগিতা করে র‍্যাব-১১ এর একটি ইউনিট।

র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন গণমাধ্যমকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, র‍্যাব-১০ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে নান্নুকে গ্রেফতার করেছে এবং তাদের ইউনিট অভিযানে সহযোগিতা প্রদান করেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য র‍্যাব-১০ এর পক্ষ থেকে জানানো হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী সোহাগকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে এবং সিমেন্টের ব্লক দিয়ে থেঁতলে হত্যা করা হয়। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, নান্নু ইট ও সিমেন্টের ব্লক দিয়ে সোহাগের মাথায় আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা চারজনের মধ্যে একজন ছিলেন।

গত ৯ জুলাই, বুধবার, মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে সোহাগকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় দেশব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠলে পরের দিন নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে। স্থানীয়রা প্রাথমিকভাবে চাঁদাবাজিকে এই হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে ধারণা করছেন।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নান্নু গ্রেফতারের মাধ্যমে এই মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হলো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এই হত্যাকাণ্ডটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী।

খবরটি সবার সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও খবর...।