নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি ও মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, ‘আমরা মাসের পর মাস বহুবার জেল খেটেছি। আমাদের বহুবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দেয়া হয়েছে। গত বছর ১৪ই জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে আমাদের বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৫৫টি মামলা দেয়া হয়েছিল। এই ৫৫টি মামলার মধ্যে আমি এবং আমার সদস্য সচিব ৩৭টি মামলায় আসামী হয়েছি। যদি আন্দোলন সফল না হতো, তাহলে নারায়ণগঞ্জে যেই ৫২ থেকে ৫৫টি হত্যা হয়েছে, সেই প্রতিটি হত্যা মামলায় আমাদেরকে আসামী করা হতো, আমাদেরকে জেলে যেতে হতো এবং আমরা জীবনে আর জেল থেকে বের হতে পারতাম কিনা- তা নিয়ে প্রশ্ন ছিলো। আমাদের এখানে সকলেই পরীক্ষিত নেতাকর্মী। এই পরীক্ষিত নেতাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না থাকি, তাহলে ফ্যাসিস্টরা সুযোগ পাবে। ফ্যাসিস্টরা আবার চোখ রাঙাবে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর থানা বিএনপির অন্তর্গত ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভা ও ৩১ দফা বাস্তবায়নে আলোচনা সভা এবং লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এই কথা বলেন। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
সাখাওয়াত হোসেন খান আরও বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের আগে ফ্যাসিস্ট সৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের মানুষের বুকের উপর চেপে বসে দম বন্ধ করে রেখেছিলো। এই দেশের মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছিল, সকল ধরনের রাজনৈতিক অধিকার, ভোটের অধিকার, আইন পাওয়ার অধিকার সহ সকল অধিকার তারা ক্ষুন্ন করেছিলো। সেই অবস্থা থেকে উত্তরনের জন্য এই জনগণকে নিয়ে আমরা ১৫ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আমাদের অনেক ভাই আমাদের মধ্য থেকে হারিয়ে গিয়েছে। অনেক ভাইকে আজকে আমরা আর দেখতে পাই না। কারণ তারা আর পৃথিবীতে নেই।
সাখওয়াত হোসেন খান আরও বলেন, ‘আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান যার হাতে ধানের শীষ তুলে দিবেন, সেই প্রার্থীকে বিজয়ী করতে আমরা সকলে মিলে কাজ করে যাবো। তবে আমরা দলের ত্যাগী নেতাদের গুরুত্ব দেই। যেই নেতারা বিগত ১৫-১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছে, যারা রাজপথে ছিলো, যারা দলের জন্য ত্যাগ শিকার করেছে, জেল খেটেছে, নির্যাতিত ও নিপীড়িত হয়েছে, সেই নেতাদের মধ্য থেকেই যেন নমিনেশন দেয়া হয়, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘এই দেশের মানুষ আমরা সবাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করে আছি। এই নির্বাচনটা এই দেশের মানুষের অনেক কাঙ্খিত নির্বাচন। সেই নির্বাচনে আমরা সবাই নিরপেক্ষ ভাবে ভোট দিতে চাই। যেন আমরা যেই ভোট দিব, সেই ভোটের ফলাফলের মধ্যে নিরপেক্ষতার প্রতিফলন ঘটে। সেটাই আমরা প্রত্যাশা করি। কারণ বিএনপি সবসময় জনগনের দল এবং গণতন্ত্রের প্রতীক। আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বলেছেন যে, জনগণই ক্ষমতার উৎস। সেই জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচি, বেগম খালেদা জিয়ার ডাল-ভাত কর্মসূচি এবং আজকে আমাদের নেতা তারেক রহমান যেই ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছে, এই কর্মসূচির মধ্যে বাংলাদেশের মানুষে এবং রাষ্ট্রের, বিচার বিভাগের, আইন বিভাগের, নারী, শিশু, যুবক, শ্রমিক, কৃষক, সকলের অধিকার সম্পর্কে, দেশ কিভাবে চলবে সেই সম্পর্কে দফা আকারে উত্থাপন এবং আলোচনা করা হয়েছে। এই ৩১ দফার মধ্যেই রাষ্ট্র মেরামতের সকল উপায় রয়েছে।’
Leave a Reply