বুধবার, ১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
শিরোনামঃ
আমরা অবশ্যই এলাকার লোক হিসেবে মাসুদকে পাস করিয়ে নিয়ে আসতে পারবো:মোহম্মদ আলী পুনরায় ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুর রহিম ও সেক্রেটারি মোঃ মাসুম আমার ছেলে অ্যারো স্পেস ইঞ্জিনিয়ার, তার অয়ন ওসমান হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই: বাবুল আমি রাজনীতিতে আসছি সেবা করতে, ব্যবসা করতে না: এমপি প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ  আমরা যদি নাগরিক হিসেবে সচেতন হই, তবেই এসব দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে পারি: ডিসি র‍্যাব এবং জেলা প্রশাসনের যৌথ  অভিযানে খানপুর হাসপাতাল থেকে ১৫ জন দালালকে আটক সিদ্ধিরগঞ্জে ৩১০ পুরিয়া হেরোইন ও মাদক বিক্রির টাকাসহ ২জন ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার  শিশুদের শিক্ষা, নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর: ডিসি রূপগঞ্জে শবনম ভিজিটেবল অয়েল মিলস কারখানায় ভয়াবহ আগুন এই শহর আমাদের সবার, তাই শহরটিকে পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের দায়িত্ব: খোরশেদ 

আমাদের দেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই একসঙ্গে কাজ করে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 

নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জঃ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাষ্টমীর স্নানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাপ মোচনের আশায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লাখো পূণ্যার্থী অংশ নিয়েছেন এই বার্ষিক ধর্মীয় আয়োজনে। দুই দিনব্যাপী এ উৎসব শুরু হয় শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দিনগত রাত ২টায়, চলবে শনিবার (৫ এপ্রিল) রাত ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে স্নানোৎসব পরিদর্শন করেন। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সবসময়ই আছে। বাংলাদেশের মতো এত সম্প্রীতির উদাহরণ কোথাও নেই। আশপাশের দেশের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে। আমাদের দেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান—সবাই একসঙ্গে কাজ করে।”

তিনি আরও বলেন, “অন্যান্য বারের তুলনায় এবার নদীর পানি ভালো ছিল। নদী যেন সবসময় ভালো থাকে, সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। পূণ্যার্থীদের সংখ্যাও এবার বেশি ছিল। পূণ্যার্থীদের সেবা ও নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”

লাঙ্গলবন্দ এলাকাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে কীভাবে এটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যায় তা দেখা হবে। তবে এটা কেবল পর্যটন কেন্দ্র নয়, এটা একটি পূণ্যভূমি। ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়টি যেন ক্ষুণ্ন না হয়, সেদিকে সবার লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা, জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, স্নান উৎসব উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শংকর সাহা ও জয় কে রায় চৌধুরী বাপ্পিসহ বিভিন্ন স্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা।

স্নান উৎসবকে ঘিরে লাঙ্গলবন্দে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। ব্রহ্মপুত্র নদে ফুল, ধান, বেলপাতা, দূর্বা, আম্রপল্লব, হরীতকীসহ নানা পূজার উপকরণ নিয়ে পূণ্যার্থীরা স্নানে অংশ নেন। পাশাপাশি নদীপাড়ে ঘাটে ঘাটে চলে বাসন্তী পূজা। পূণ্যার্থীদের সেবায় ছিল ২০টি স্নানঘাট ও ৫৮টি সেবা ক্যাম্প। নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল একাধিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

খবরটি সবার সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও খবর...।