মঙ্গলবার, ২১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
শিরোনামঃ
দেশকে বাঁচাতে হলে আইনের শাসন ফিরিয়ে আনতে হবে: আহবায়ক মামুন মাহমুদ  আপনি কোনো ব্যক্তিকে ভোট দিবেন না, ধানের শীষে ভোট দিবেন: অ্যাড. সাখাওয়াত  বিএনপি নির্বাচিত হলে শিক্ষকদের সব সমস্যা দূর করা হবে: কাজী মনির সিদ্ধিরগঞ্জে সেভেন স্টার এরিনা স্পোর্টস জোন”র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নারায়ণগঞ্জের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা গুলশান কার্যালয়ে, ঐক্যবদ্ধের নির্দেশ  শহরের খানপুরে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যুবককে হত্যা আমার একমাত্র ছেলে আবুল কাউছার আশাকে বন্দরবাসীর জন্য দান করে দিলাম: অ্যাড. কালাম বন্দরে খেয়াঘাটে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র, আহত ৫ জন মাসুদুজ্জামান মাসুদের পক্ষে ১৩ নং ওয়ার্ড ৩১ দফা নিয়ে আনু’র গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  তথ্য মানসম্মত না হলে সমাজে-রাষ্ট্রে ঝামেলা সৃষ্টি হয়: ডিসি জাহিদুল ইসলাম 

শহরের খানপুরে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যুবককে হত্যা

নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জঃ 

নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে ধর্ষণের অভিযোগে বাসা থেকে তুলে নিয়ে এক যুবককে মারধরের ৮ ঘন্টা পর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত আটটার দিকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে জানান এ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. শাহাদাত হোসেন।

নিহত ব্যক্তির নাম আবু হানিফ। পেশায় নিরাপত্তা প্রহরী ৩০ বছর বয়সী হানিফ বাগেরহাটের শরণখোলার আবুল কালামের ছেলে।

এর আগে বিকেল তিনটার দিকে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় এলাকার কয়েকজন লোক হাসপাতালে রেখে চলে যান বলেও জানান এ চিকিৎসক।

“সন্ধ্যা ছয়টায় পরিবারের লোকজন হাসপাতালে আসেন। নিহতের শরীর ও মাথায় গুরুতর জখম ছিল।”

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, দুপুর ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে এলাকার কয়েকজন যুবক মারধর করে। বাসা থেকে তুলে নিয়ে খানপুর জোড়া ট্যাংকি এলাকায় তাকে মারধর করা হয়।

দুপুর বারোটার দিকে হানিফ বাসায় বিছানায় শুয়ে ছিলেন বলে জানান তার মেজোবোন রাবেয়া।

“এলাকার কিছু ছেলে বাসায় এসেই ভাইরে মারতে মারতে নিয়ে চলে যায়। আমাদের কোনো বাধা শোনেনি, কী কারণে মারতেছে তাও বলেনি। অনেক পরে বলতেছে সে (হানিফ) নাকি কোন বাচ্চারে ধর্ষণ করতে চাইছে।”

নিহতের ভগ্নিপতি মো. ইব্রাহিম বলেন, “শুরু থেকে আমি ছিলাম না। আমি ছিলাম ডিউটিতে। দুপুরে আমাকে ফোন দিয়ে জানায়, এলাকার কিছু যুবক ছেলে ঝামেলা করতেছে। ফোন পাইয়া আমি বাড়িতে আসি। আমি আইসা বাসায় কাউরে পাই নাই। পরে আবারও ফোন দিলে আবার আসি। তখন দেখি, আমার ওয়াইফরে ধমকাইয়া বাসা থেকে নামাইতেছে।”

“পরে তারা আমাকেও ধইরা খানপুরে ওয়াসার অফিসের সামনে নিয়া আসে। তখন দেখি, আমার সম্বন্ধিরে (হানিফ) ওয়াসার ভিতরে বসায়া রাখসে। ১০-১২ জন যুবক পোলাপান ছিল। তাদের মধ্যে পাশের বাড়ির অভি নামে স্থানীয় একজনরে চিনছি। কিছুক্ষন পরেই তারা হানিফ ভাইরে অটোতে তুইলা নিয়ে কোথায় যেন চলে যায়। অনেক পরে আমরা তারে হাসপাতালে পাই”, যোগ করেন ইব্রাহিম।

হানিফ খানপুরেরই একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার স্ত্রী তিন শিশু সন্তানকে নিয়ে কয়েকদিন আগো গ্রামের বাড়িতে গেছেন বলে জানান নিহতের স্বজনরা।

হাসপাতাল চত্বরে কাঁদতে কাঁদতে নিহতের বাবা আবুল কালাম বলেন, “আমার ছেলে ক্রাইম করলে তারে শাস্তি দিবো আইনে। কিন্তু তারে মাইরা ফেললো কোন যুক্তিতে! আমি এর বিচার চাই।”

এ ঘটনার বিস্তারিত জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানান সদর থানার ওসি মোহাম্মদ নাছির বলেন, “ধর্ষণচেষ্টার কোনো অভিযোগ আগে আমাদের থানায় কেউ করেনি। পুলিশ মরদেহ হাসপাতালে পায়। ধর্ষণের আসলেই কোনো চেষ্টা হয়েছে কিনা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ কাজ করছে।”

খবরটি সবার সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও খবর...।