রবিবার, ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
শিরোনামঃ
নারায়ণগঞ্জে সুজনের গোল টেবিলে বক্তারা, “নির্বাচন চাই পরিবর্তনের লক্ষ্যে” নির্বাচনকে বানচাল করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই এসব গুলি ও সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটছে: টিটু সেলিম ওসমানের শেল্টারদাতা বিএনপির প্রার্থী, এনসিপি নেতার স্ট্যাটাস আমরা সমস্ত ষড়যন্ত্রকে রুখে দিব ইনশাআল্লাহ: মাসুদুজ্জামান বন্দরে গোয়াল ঘড় থেকে এক রাখালের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার  এই বাংলাদেশের অমূল্য রত্ন বেগম খালেদা জিয়া: মান্নান বন্দরে সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুলের তুলার গোডাউনে আগুন বন্দরে বিভিন্ন ওয়ারেন্টে নারীসহ ৪ জন গ্রেপ্তার  রূপগঞ্জে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি, আহত ৫জন আড়াইহাজার উপজেলায় ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক 

সেলিম ওসমানের শেল্টারদাতা বিএনপির প্রার্থী, এনসিপি নেতার স্ট্যাটাস

নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জঃ 

জুলাই আন্দোলনে হামলা ও হত্যার অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলার আসামি হয়েও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বিনা বাধায় ‘অফিস করছেন এবং ব্যবসা পরিচালনা করছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক শওকত আলী।

তিনি বলেন, এই তথ্য প্রশাসন জানলেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কারণ বিএনপির একজন সংসদ সদস্য প্রার্থী সেলিম ওসমানকে আশ্রয় দিচ্ছেন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজ একাউন্টে স্ট্যাটাস দিয়ে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন এনসিপির ওই নেতা।

শওকত আলী নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে এনসিপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তিনি দলটির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও পরে নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী আহমেদুর রহমান তনুকে আসনটিতে মনোনীত করে এনসিপি।

সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, যিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যে ‘পলাতক’, তার ‘শেল্টারদাতা’ হিসেবে বিএনপির প্রার্থীকে অভিযুক্ত করলেও ওই প্রার্থীর নাম স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেননি এনসিপি নেতা শওকত আলী।

এ বিষয়ে তিনি লেখেন, “এখন কেউ আইসা এমপি প্রার্থীর নাম বলতে বলবেন না, সবাই-ই জানে। এইগুলা ওপেন সিক্রেট। যতটুকু লিখসি এতেই অনেকের চক্ষুশূল হয়ে গেছি।”

তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো- “সেলিম ওসমান অফিস করে, ব্যবসা চালায়। প্রশাসন জানে, কিন্তু ব্যবস্থা নেয় না। কারণ বিএনপির এমপি প্রার্থী শেল্টার দেয়। এইগুলা নারায়ণগঞ্জ-এর ওপেন সিক্রেট। এদিকে বিএনপির সেই এমপি প্রার্থীর প্রক্সি হিসেবে আবার আরেক দল কাজ করতেসে, পুরো দল মিলে তার প্রচারণার আইডিয়া সাজায় দেয়!

এর সাথে আছে কিছু সাংবাদিক। নারায়ণগঞ্জ-এর কোর্টপাড়ায় বিএনপির বড় উকিলেরা জামিন করায় লীগের লোকজনের। রুমিন ফারহানার মতো লোকও আসছিল বৈষম্যবিরোধী মামলায় লীগের একজনকে জামিন করাইতে। লিগের সন্ত্রাসীরা এখন প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরি করে। জানি এইগুলা বললে এখন আমার বিরুদ্ধে শুরু হবে অনলাইন-অফলাইনে আক্রমণ। তবু লিখলাম, চুপ করে আর কত!

এখন কেউ আইসা এমপি প্রার্থীর নাম বলতে বলবেন না, সবাই ই জানে। এইগুলা ওপেন সিক্রেট। যতটুকু লিখসি এতেই অনেকের চক্ষুশূল হয়ে গেছি।”

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি সংসদীয় আসনের চারটিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। তারা হলেন- নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা মাসুদুজ্জামান মাসুদ (নারায়ণগঞ্জ-৫), বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান (নারায়ণগঞ্জ-৩), বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ (নারায়ণগঞ্জ-২) ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের বর্তমান সভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু (নারায়ণগঞ্জ-১)। বিএনপি এ জেলায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনটি খালি রেখেছে।

খবরটি সবার সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও খবর...।