নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আমরা এই শহরে থাকি কিন্তু এর কথা ভাবি না। আমাদের ভাবতে হবে শহরই আমার ঘর। একবার এই উপলব্ধি এলে সমস্যাগুলো সমাধান করা সহজ হবে। আজ প্রতিদিন এক হাজার টন ময়লা হয়, পাঁচ বছর পর তা দাঁড়াবে ২-৩ হাজার টনে। যদি এখনই সিদ্ধান্ত না নেই, তখন ময়লা ফেলার জায়গা থাকবে না।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে নারায়ণগঞ্জ শহর আমার বাড়ি, সচেতন হই পরিষ্কার রাখি” এই স্লোগানে শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তিি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশ দূষণ রোধে সবার সহযোগিতা জরুরি। নতুন পথে চলা কঠিন হলেও এ কাজ আমাদের করতেই হবে। সমালোচনা আসতে পারে, কিন্তু কাজ চালিয়ে গেলে সফল হবো।
সভায় নাসিক সচিব নূর কুতুব আলম জানান, শহরের ময়লা ব্যবস্থাপনায় এখনও নির্দিষ্ট স্থান নেই, তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে কল্যাণী খাল পরিস্কার সমস্যার সমাধান করা হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ এইচ এম রাশেদ অভিযোগ করেন, “ফতুল্লায় অনেক কারখানা ইটিপি ছাড়াই চলছে।” তিনি নাগরিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মার্কেটগুলোকে বর্জ্য অপসারণে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি বলেন, “মার্কেটের সামনে পরিচ্ছন্ন রাখা হলেও ফুটপাতের হকাররা ময়লা ছড়িয়ে রাখছে। বারবার বলার পরও তারা নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলছে না।
জেলা দোকান মালিক সমিতির সেক্রেটারি শাহেদ শাহীন জানান, মার্কেটগুলোতে নির্দিষ্ট স্থান থাকলেও হকাররা তা মানছে না।
সভায় ইউনিয়নভিত্তিক ডাস্টবিন, ময়লার স্তূপ ও ভ্যানের মাধ্যমে বর্জ্য অপসারণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আলমগীর হোসাইনের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন— অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুভ আহম্মেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলিমা শিরিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবযানী কর, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু সাউদ মাসুদসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা।
Leave a Reply