নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জঃ
আড়াইহাজারে শ্যালকের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বোন জামাইকে আটক করেছে থানা পুলিশ। রবিবার সকালে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের সিংহদী গ্রামে এই ঘটনা ঘটলে, মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগীমা বাদি হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত বোন জামাইয়ের নাম শামীম (৩৮)। সে সোনারগাঁও উপজেলার নোয়াগাও ইউনিয়নের শেখকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালিবের ছেলে। এছাড়া ভুক্তভোগীর ননদের স্বামী।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, বিগত ৬ মাস পূর্বে তার ১৮ বছরের মেয়ের সাথে উপজেলার সিংহদী এলাকার কাউছার মিয়ার ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের ২ মাস পর থেকেই কাউছার মিয়া তার মেয়ের সাথে কারণে অকারণে অকথ্যভাষায় গালিগালাজসহ মারধর শুরু করে। যার ফলে ওই পরিবারের মেয়ের জামাই শামিম মেয়েটির উপরে খারাপ নজর দেয় এবং সুযোগ পাইলে কু-প্রস্তাব দেয়। এসব ঘটনা কাউছার ও তার বা-মা কে জানাইলে তারা উল্টো খারাপ আচরণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন সকাল ১০ টায় বাড়ির সবাই জমিতে কাজ করতে চলে গেলে ধর্ষক শামিম ঘরে ঢুকে মেয়েটির অনিচ্ছা থাকা স্বত্ত্বেও জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং এই ঘটনা কাউকে না বলার জন্যে হুমকি প্রদান করে। এই ঘটনা আমি ও মেয়ের বাবাসহ বিষয়টি তাদের পরিবারের সকলকে জানানো হলে আমাদের কথা বিশ্বাস না করে তারা সকলে মিলে গালিগালাজসহ মারধর শুরু করে। পরে ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আমাদের উদ্ধার করে। এসময় ঘটনাটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হলে তারা তালাক দেওয়াসহ খুনও জখমের হুমকি প্রদান করে। এরপর মেয়েকে আড়াইহাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এই ঘটনায় ধর্ষিতাকে মারধরের অভিযোগে তার স্বামী কাউছার মিয়া (২৭), শ্বশুর হারুন (৫৫) ও শ্বাশুড়ি হাসনা হেনাসহ আরও ৩ জনকে আসামী করা হয়েছে।
আড়াইহাজার থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) এনায়েত হোসেন বলেন, মামলার প্রধান আসামীকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply