নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জঃ
ফতুল্লার কুতুবপুর লামাপাড়া নয়ামাটি এলাকার গৃহবধু লামিয়া আক্তার ফিজা হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামী মো.গোলাম রহমান জিসান গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
বুধবার দিবাগত রাত্র পৌনে ২টায় লামাপাড়া নয়ামাটি এলাকা হতে জিসানকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জিসান মৃত.উজ্জলের ছেলে এবং মামলার ১২নং এজাহারভুক্ত আসামী।ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক মো.ইমানুর জানান,রাত প্রায় পৌনে ২টায় সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মামলার এজাহারনামীয় আসামী জিসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।গ্রেফতারকৃত আসামী জিসানকে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন চেয়ে দুপুরে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে,গত ২রা জানুয়ারী বৃহস্পতিবার রাতে ফতুল্লার লামাপাড়া নয়ামাটি এলাকায় শশুর বাড়ির জানালার গ্রীল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় লামিয়া আক্তার ফিজার (২১) লাশ উদ্ধার করা হয়। ওসময় ফিজার স্বামী আসাদুজ্জামান মুন্না তার বাবা মনির হোসেন মনুসহ পরিবারের সকলে আত্মগোপন করায় নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে রহস্যের সৃষ্টি হয়। এরআগে থেকেই ফিজার সাথে তার স্বামী মুন্না ও তার পরিবারের সাথে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছে। এতে ফিজাকে একাধীকবার মারধরও করেছে মুন্না।
এ বিষয়ে ফিজার বাবা মোহাম্মদ আলী হত্যা মামলা দায়েরের জন্য একটি লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর ৬ জানুয়ারী থানা পুলিশ হত্যা মামলায় দায়ের করেন। ফিজার স্বামী মুন্না তার বাবা মনির হোসেন মনু তার মা আকলিমা বেগম বোন মুন্নী চাচাতো ভাই তোফাজ্জল হোসেন তার বড় ভাই শীর্ষ সন্ত্রাসী চুন্নুর ইন্দনে ফিজাকে তার স্বামী মুন্না হত্যা করে মৃতদেহ জানালার সঙ্গে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখে।
হত্যাকান্ডের শিকার লামিয়া আক্তার ফিজা ফতুল্লার দেওভোগ বাশমুলি এলাকার মোহাম্মদ আলীর মেয়ে। ২০২০ সালের ১৪ আগম লামিয়া আক্তার ফিজাকে মুন্নার কাছে বিয়ে দেয়। তাদের সংসারে ২বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
Leave a Reply