নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জ:
নিজস্ব প্রতিনিধি : গত ৬ মার্চ, বৃহস্পতিবার, দৈনিক সোজাসাপটা, দৈনিক শীতলক্ষা, দৈনিক দেশের আলো পত্রিকাসহ বেশকিছু পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে ‘মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের তিন থানা কমিটিতে মাদক ব্যবসায়ী-চিহ্নিত অপরাধীরা’-এ শিরনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদে উল্লেখ করা হয় নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আওতাধীন সদর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এবং বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলে বিতর্কিতরা স্থান পেয়েছে। বিশেষ করে সদর থানা কমিটিতে রড চোর ও মাদক ব্যবসায়ীদের স্থান দিয়েছেন।
সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির চার নম্বর যুগ্ম আহবায়ক জুয়েল শেখ দুই বছর আগে রড চোরের দায়ে এলাকাবাসীর কাছে আটক হয়েছিলেন। সেই ভিডিও এখনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ ধরনের বিবরণও তুলে ধরা হয়। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।
যুগ্ম আহবায়ক জুয়েল সম্পর্কে পত্রিকাগুলিতে যে সংবাদ প্রকাশ পায় এ বিষয়ে জুয়েল শেখ-এর সাথে যোগাযোগ করে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ছবি ও নাম জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়। পত্রিকাগুলো আমার বক্তব্য না নিয়ে তাদের অসাধু ব্যক্তিদের মনগড়া তথ্যের ভিক্তিতে সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদটিতে প্রকৃত সত্য ঘটনা আড়াল করে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে যা দুঃখজনক ও আমার জন্য লজ্জাকর।
আমার চরিত্র ও রাজনৈতিক সুনামকে নষ্ট করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত হয়ে এমন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে বলে আমার ধারণা। আমি এ সংবাদের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ ও প্রকাশিত সংবাদের বিরোধীতা করছি।
আপনাদের সামনে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরে আমি জুয়েল শেখ বলতে চাই, বিগত ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে আওয়ামী সরকার দলীয় চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী একটি সংঘবদ্ধ চক্র অলিদ, সনেট, জুয়েল, রাসেল, রাজু, টিকলি মনির সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আমি বিএনপি দলের একজন সক্রিয় কর্মী এই মর্মে আমার উপর চড়াও হয়ে আমার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। কিন্তু আমি তাদের দাবীকৃত চাঁদা না দেয়ায় আমাকে ভয়ভীতি ও হুমকি-ধামকি দিয়ে থাকে। এক পর্যায়ে তারা আমার বসতবাড়িতে এসে ভাংচুর করে এবং আমার ছোট ভাই হতে ২০ হাজার টাকা ও আমার স্ত্রীর গলার স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। তারা যাবার সময় বলে পরবর্তীতে এসে আরো ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যাবে। আমি না দিলে আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দিবে নয়তো প্রাণে মেরে লাশ গুম করে দিবে। আমি ভয় পেয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে উপরোক্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ করি। যার এস.এল ২৭৮৬। তারিখ : ২৪,০৪.২০২০। কিন্তু আমি তাদের চাহিদাকৃত টাকার দাবী পূরণ না করায় তাঁরা আমাকে ষড়যন্ত্রের ফাঁদে ফেলে জিম্মি করে বাসা থেকে জোড় পূর্বক তুলে এনে তাদের ইচ্ছে মতো নাটক সাজিয়ে সমাজের সামনে আমাকে অপরাধী বানানোর চেষ্টা করে। এর প্রকৃত কারণ হলো আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একজন কর্মী হয়ে আওয়ামী সরকারের সময়েও বিএনপির বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচি পালন করি। আওয়ামী সরকারের দলীয় লোকদের হুমকি ধামকি ও মারধর উপেক্ষা করে বিএনপি দলীয় কাজ করায় তারা আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের ফাঁদে ফেলে। এ কারণে তারা আমাকে হাজীগঞ্জ বাজারে ক্লাবের সামনে নিয়ে অমানুসিক নির্যাতন করে এবং প্রকৃত চোরদের আড়াল করে আমাকে রড চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার সুনাম নষ্ট করতে চায়। কিন্তু এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়ে তারা আামকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। যদি আমি অপরাধী হতাম বা রড় চুরি করতাম তাহলে সেদিন তারা চুরির অপরাধে মামলা বা আমাকে পুলিশকে দিলো না কেন? এ বিষয়ে আপনারা খোঁজখবর নিয়ে দেখতে পারেন। আমি কখনো কোন অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত নই। আইন ও সমাজের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। আমি গণমাধ্যমের প্রতি সন্মান জানিয়ে বলতে চাই আপনারা দুষ্টু চরিত্র লোকেদের কথা শুনে অহেতুক মানুষের চরিত্র হরণ করে সংবাদ প্রকাশ করবেন না। এতে আপনাদের প্রতি আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যাবে। আপনাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ করে বলতে চাই আপনাদের কাছে পাঠানো যেকোন সংবাদের তথ্যটা একটু যাচাই বাঁচাই করে দেখবেন। কেননা আপনার পত্রিকাকে পুঁজি করে স্বার্থবাজ কেউ যেন তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে না পারে সে দিকে খেয়াল রাখবেন এবং তাদের প্রশ্রয় দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন, এটা আমার দাবী।
Leave a Reply