নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জ:
এস এম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার কোতালের বাগ এলাকার অসহায় গৃহবধূ বীথি আক্তার। তার স্বামী মো. কমল ব্যাপারী পেশায় দিনমজুর। চার সদস্যের পরিবারের নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে তাদের আদরের চার বছরের একমাত্র ছেলে আজান ইসলাম দীর্ঘদিন যাবত শারীরিকভাবে অসুস্থ। দিন দিন তার মাথার বাম পাশের হাড় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ছাড়াও শিশু আজানের চোখের সাদা অংশ ফুলে গিয়ে বাইরে বের হয়ে আসছে।
এ অবস্থায় আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতদের কাছে ধারকর্জ করে এক বুক আশা নিয়ে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শিশু আজানকে। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান দুরারোগ্য এই রোগের চিকিৎসা করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। এ কথা শুনে মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে বিথী-কমল দম্পতির।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সচ্ছল ব্যক্তিদের ধারে ধারে ঘুরলেও কেউ সাহায্যের হাত বাড়াননি। এ অবস্থায় আজানের দিন দিন মৃত্যুর দিকে ধাবিত হওয়া মেনে নিতে পারেননি অসহায় গৃহবধূ বীথি। এমন সময় এলাকাবাসীর কাছ থেকে শুনেন নারায়ণগঞ্জে একজন মানবিক জেলা প্রশাসক যোগ দিয়েছেন। একপর্যায়ে গতকাল বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আজানের চিকিৎসার জন্য সাহায্য চেয়ে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়ার কাছে লিখিত আবেদন করেন। আবেদনের এক দিনের মধ্যেই বিথীর আবেদনে সাড়া দিয়ে জেলা পরিষদের তহবিল থেকে ৩০ হাজার টাকা প্রদান করেন জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম। এমনকি আগামী ঈদে নিজের পরিবারের নতুন পোশাক না কিনে সেই টাকা আজানের জন্য দেওয়ার আশ্বাসও দেন মানবিক এই জেলা প্রশাসক।
Leave a Reply