বুধবার, ৩রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
শিরোনামঃ
শহরের দিগুবাবুর বাজারে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ, জরিমানা  রূপগঞ্জ এক যুবককে পায়ের রগ কেটে হত্যা না.গঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটিকে শুভেচ্ছা জানালো আইন কলেজের শিক্ষার্থীরা আমার নেতা জাকির খান নারায়ণগঞ্জে এক অদ্বিতীয়: দিদার খন্দকার ফতুল্লায় র‍্যাব-১০এর অভিযানে বিদেশি পিস্তল, গুলি ও ম্যাগজিনসহ যুবক গ্রেপ্তার  সেই আপোষহীন শতবর্ষী বৃদ্ধা ফজিলাতুন্নেছার পাশে মানবিক ডিসি জাহিদুল ইসলাম   শহরের আমলাপাড়া মাদ্রাসায় মাসুদুজ্জামান মাসুদের আনুদান সিদ্ধিরগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দিলেন জেলা প্রশাসক  প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি নেতা দিদার খন্দকারের নেতৃত্বে বিশাল আনন্দ মিছিল প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর বিএনপির সাখাওয়াত-টিপুর নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য র‌্যালি

ঢামেকে শুরু হচ্ছে প্লাজমা থেরাপি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নতুন ভবনে শুরু হচ্ছে প্লাজমা থেরাপি। করোনা থেকে সুস্থ হতে এটি একটি কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি। তবে এই চিকিৎসার জন্য সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ফেরা ব্যক্তিদের। তাদের শরীরের প্লাজমায় বাঁচবে অন্যরা।

 

শনিবার (১৬ মে) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডাক্তার এম এ খান জানান, ‘বিশ্বের কয়েকটি দেশ করোনা আক্রান্তদের এই প্লাজমা থেরাপি চিকিৎসা দিয়ে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ সফলতা পেয়েছে। চীনে ১০ জন করোনা রোগীর উপর এই প্লাজমার থেরাপি চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে তিনজন রোগী ভেন্টিলেটরে ছিলেন। চিকিৎসকদের স্ট্যাডি থেকে জানা যায়, ওই থেরাপির কারণে সবাই সুস্থ হন।

 

এছাড়া গতকাল আমেরিকার একটি হাসপাতালের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা ২৩ জন করোনা রোগীকে প্লাজমা থেরাপি চিকিৎসা দিয়েছে। তাদের মধ্যে ২১ জনই সুস্থ হয়েছেন।’

 

এর পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি জানান, করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ রোগীর শরীর থেকে হলুদ রঙের প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে। করোনা থেকে যেসব ব্যক্তি সুস্থ হচ্ছেন তাদের এগিয়ে আসতে হবে। সারা বিশ্বে এই চিকিৎসায় সুস্থতার হার বেশি হওয়ায় বাংলাদেশের চিকিৎসকরাও প্লাজমা থেরাপিতে আশার আলো দেখছে।

 

‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই সুস্থ হয়েছেন। ওইসব ব্যক্তির শরীরে এন্টিবডি তৈরি হয়েছে। তাদের কাছ থেকে মেশিনের মাধ্যমে হলুদ রঙের প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে। বাকি রক্তগুলো ওই মেশিন মাধ্যমে প্লাজমাদাতার শরীরে চলে যাবে। এতে প্লাজমা দাতাদের কোনো সমস্যা হবে না। এসব প্লাজমাদাতাদের করোনা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে আনুমানিক চারশ থেকে ছয়শো এম এল প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে।’

 

তিনি অনুরোধ করেন এই মহৎ কাজের জন্য করোনা থেকে সুস্থ ব্যক্তিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে যেন এগিয়ে আসেন। দাতাদের কোনো সমস্যা হবে না বলে তিনি নিশ্চিত করেন। রক্তের গ্রুপভিত্তিক রোগীদের প্লাজমা থেরাপি চিকিৎসা দেওয়া হবে।

খবরটি সবার সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও খবর...।