রবিবার, ১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
শিরোনামঃ
আমরা কোনো দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসীতে বিশ্বাস করি না: অ্যাড. সাখাওয়াত  দল থেকে প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার পর আমি নিজে মাঠে নামব: গিয়াসউদ্দিন  সোনারগাঁয়ে মেঘনা গ্রুপের চিনি কারখানায় ভয়াবহ আগুন  আড়াইহাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র বিএনপি ও যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত সাংবাদিক শিপন আহমেদের মৃত্যুতে ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের দোয়া  একটি পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ শহর গড়ে তোলা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, এটি আমাদের নাগরিক দায়িত্বও: মাসুদ আলোচনা, কবিতা,ছড়া,অণুগল্প, পুঁথি পাঠ ও সন্মাননা’র মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো কাব্যকথা’র ১৩ তম সাহিত্য উৎসব নিজেদের মধ্যে কুৎসা রটানো বন্ধ করে এখন সময় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার: মাসুদুজ্জামান মাসুদ  নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে ইয়াবা ও নগত টাকাসহ ৬ জন গ্রেপ্তার  সিদ্ধিরগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এর মতবিনিময় 

ঢামেকে শুরু হচ্ছে প্লাজমা থেরাপি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নতুন ভবনে শুরু হচ্ছে প্লাজমা থেরাপি। করোনা থেকে সুস্থ হতে এটি একটি কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি। তবে এই চিকিৎসার জন্য সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ফেরা ব্যক্তিদের। তাদের শরীরের প্লাজমায় বাঁচবে অন্যরা।

 

শনিবার (১৬ মে) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডাক্তার এম এ খান জানান, ‘বিশ্বের কয়েকটি দেশ করোনা আক্রান্তদের এই প্লাজমা থেরাপি চিকিৎসা দিয়ে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ সফলতা পেয়েছে। চীনে ১০ জন করোনা রোগীর উপর এই প্লাজমার থেরাপি চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে তিনজন রোগী ভেন্টিলেটরে ছিলেন। চিকিৎসকদের স্ট্যাডি থেকে জানা যায়, ওই থেরাপির কারণে সবাই সুস্থ হন।

 

এছাড়া গতকাল আমেরিকার একটি হাসপাতালের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা ২৩ জন করোনা রোগীকে প্লাজমা থেরাপি চিকিৎসা দিয়েছে। তাদের মধ্যে ২১ জনই সুস্থ হয়েছেন।’

 

এর পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি জানান, করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ রোগীর শরীর থেকে হলুদ রঙের প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে। করোনা থেকে যেসব ব্যক্তি সুস্থ হচ্ছেন তাদের এগিয়ে আসতে হবে। সারা বিশ্বে এই চিকিৎসায় সুস্থতার হার বেশি হওয়ায় বাংলাদেশের চিকিৎসকরাও প্লাজমা থেরাপিতে আশার আলো দেখছে।

 

‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই সুস্থ হয়েছেন। ওইসব ব্যক্তির শরীরে এন্টিবডি তৈরি হয়েছে। তাদের কাছ থেকে মেশিনের মাধ্যমে হলুদ রঙের প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে। বাকি রক্তগুলো ওই মেশিন মাধ্যমে প্লাজমাদাতার শরীরে চলে যাবে। এতে প্লাজমা দাতাদের কোনো সমস্যা হবে না। এসব প্লাজমাদাতাদের করোনা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে আনুমানিক চারশ থেকে ছয়শো এম এল প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে।’

 

তিনি অনুরোধ করেন এই মহৎ কাজের জন্য করোনা থেকে সুস্থ ব্যক্তিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে যেন এগিয়ে আসেন। দাতাদের কোনো সমস্যা হবে না বলে তিনি নিশ্চিত করেন। রক্তের গ্রুপভিত্তিক রোগীদের প্লাজমা থেরাপি চিকিৎসা দেওয়া হবে।

খবরটি সবার সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও খবর...।