নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জ:
বন্দর চৌরাপাড়া, দেউলী ওজুরীপট্টীর ট্যাবলেট সাঈদের অত্যাচারে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে । ওর বাবার নাম জাহাঙ্গীর, এমন কোন নেশা নেই যা এই ট্যাবলেট সাঈদ করে না। প্রতিদিন ট্যাবলেট খেয়ে এলাকায় তারছেড়ামী করে। এছাড় রাত জাগা পাখির মত সারারাত এলাকায় ঘুরে বেড়ায় । তখন মেয়ে ছেলেরা ঘর থেকে প্রয়োজনের তাগিদেও বের হতে পারে না ট্যবলেট সাঈদের যন্ত্রণায়। কারন প্রতিদিন ইয়াবাও সেবন করে এবং বেঁচা বিক্রির সাথেও জড়িত । প্রতিটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দোকান পাট বাড়ি ঘর থেকে চাঁদাবাজি করে সাঈদ। এখন সে চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকায় পরিচিত ।
এলাকার যত চোর ডাকাত আছে, তাদেরকে সে সেল্টার দেয়, চুরি করা সব মালামাল তার তত্বাবধানে রাখে।
এই ট্যাবলেট সাঈদের বিরুদ্ধে অপহরণ, গুম ও একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। সে বিশিষ্ট ইট ব্যবসায়ী ফেরদৌসের কাছেও ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে, চাঁদা না দিলে তাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
সম্মানিত ব্যবসায়ীদেরও সে প্রতিনিয়ত চাঁদা চেয়ে হুমকি ধামকি দেয়, নিজেকে বিএনপির নেতা পরিচয় দিয়ে এসব করছে। কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না।
দেউলি উদয়ন ক্লাবকে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় ঘোষণা দিয়ে, সেখানে টর্চার সেল বানিয়েছে। সে দেশীয় অস্ত্রের মাধ্যমে ভুক্তভোগী জনগনকে অপহরণ করে টর্চার করে, জোর পুর্বক ।
বাংলাদেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতৃ বৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষন করছি, বিএনপির মান সম্মান হানি করা এই ট্যাবলেট সাঈদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করুন।
সে নাকি এখন চোরেদের সর্দার। যত টোকাই শ্রেণীর ছেঁচড়া কাজ কর্মে সে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছে।
এলাকার যত চুরি বাটপারি, ধান্দাবাজি, মাদক কারবার সহ, সব ধরনের অপরাধমুলক কর্ম কান্ডে সে নেতৃত্ব দেয়।
তার কারনে অনেক ব্যবসায়ী, অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। এলাকার সমস্ত উন্নয়নমুলক কাজ কর্মে এই ট্যাবলেট সাঈদ সবার আগে বাধা দেয় এবং প্রতিষ্ঠান লুটপাট করে ধ্বংশ করে দেয়। এমনকি নদীর পারে সরকারি মালামাল চুরির অভিযোগও তার বিরুদ্ধে আছে।
এরই মধ্যে নারায়ণগঞ্জ আর্মি ক্যাম্পে ট্যাবলেট সাঈদের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
দেউলি চৌরাপারায় কোন মিল কারখানা খুলতে চায় না। তার নেতৃত্বে এলাকার কোন না কোন বাড়িতে প্রতিরাতে চুরি ডাকাতি হয় বলে এলাকাবাসীর দাবী । এই এলাকায় কোন ভাড়াটিয়া আসতে চায় না।
সে চৌরাপাড়া দেউলি এলাকায়, যত ইসলাম বিরোধী নিকৃষ্টতম অপরাধ ঘটিয়ে চলেছে।
তার কারনে এলাকায় তরুন প্রজন্ম আজ নেশার অভিশাপে জর্জরিত।
পার্শ্ববর্তী সমস্ত এলাকার জনগণ,
সম্মানিত নাগরিক সমাজ,
এখনো কি সময় হয় নি, এই ট্যাবলেট সাঈদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার?
এলাকাবাসী বলেন
আসুন আমরা এই অপহরনকারী, চাঁদাবাজ, মাদক কারবারি ট্যাবলেট সাঈদের বিরুদ্ধে সবাই রুখে দাড়াই।
এখনই যদি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারেন, তাহলে আমাদের সন্তানেরাও তার কারনে মাদকাসক্ত হয়ে চুরি ডাকাতির খাতায় নাম লিখাবে, বংশের মুখে চুনকালি দিবে।
দেউলি চৌরাপাড়ার সম্মান বাঁচাতে, আসুন ট্যাবলেট সাঈদকে এলাকা থেকে বহিষ্কার করি, এলাকার লোকজন আরও বলেন শান্তি শৃঙ্খলা ও ইসলামিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনি এবং এই ট্যাবলেট সাঈদ ধরে আমরা সবাই মিলে তাকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তুলে দেই নয়তো এলাকায় শান্তি ফিরে আসবে না।
Leave a Reply