বুধবার, ৩রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
শিরোনামঃ
শহরের দিগুবাবুর বাজারে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ, জরিমানা  রূপগঞ্জ এক যুবককে পায়ের রগ কেটে হত্যা না.গঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটিকে শুভেচ্ছা জানালো আইন কলেজের শিক্ষার্থীরা আমার নেতা জাকির খান নারায়ণগঞ্জে এক অদ্বিতীয়: দিদার খন্দকার ফতুল্লায় র‍্যাব-১০এর অভিযানে বিদেশি পিস্তল, গুলি ও ম্যাগজিনসহ যুবক গ্রেপ্তার  সেই আপোষহীন শতবর্ষী বৃদ্ধা ফজিলাতুন্নেছার পাশে মানবিক ডিসি জাহিদুল ইসলাম   শহরের আমলাপাড়া মাদ্রাসায় মাসুদুজ্জামান মাসুদের আনুদান সিদ্ধিরগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দিলেন জেলা প্রশাসক  প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি নেতা দিদার খন্দকারের নেতৃত্বে বিশাল আনন্দ মিছিল প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর বিএনপির সাখাওয়াত-টিপুর নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য র‌্যালি

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে মাকে বাড়িতে ঢুকতে দিল না ছেলে

আন্তজাতিক ডেস্ক: মহারাষ্ট্র থেকে শুক্রবার নিজের বাড়িতে ফেরেন ভারতের তেলেঙ্গানার বাসিন্দা কাট্টা শ্যামলয়া। কিন্তু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, এমন সন্দেহে অশীতিপর ওই নারীকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে দেননি তার ছেলে। শুধু বাড়ি ঢুকতে বাধা নয় স্ত্রীকে নিয়ে ভেতর থেকে দরজায় তালা দেন তিনি।

 

দেশটির গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন বলা হচ্ছে, রাজ্যের করিমনগরের বাসিন্দা শ্যামলয়া শুক্রবার বাড়িতে ফিরে ঘরে ঢুকতে চাইলে তার ছেলে ও পুত্রবধু জোর করে তাকে বের করে দেন। তারপর তালাবদ্ধ করেন বাড়ির দরজা। ফলে বৃদ্ধা উপায় না পেয়ে ব্যাগ নিয়ে বাড়ির বাইরে রাস্তায় বসে পড়েন।

 

দুই মাস আগে ওই বৃদ্ধা মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তবে করোনা প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় সরকার হঠাৎ দেশজুড়ে লকডাউন জারি করলে তিনি সেখানে আটকা পরেন। সম্প্রতি অন্য রাজ্যে আটকে পড়াদের ঘরে ফেরার অনুমতি দিলেন তিনিও বাড়ি ফেরেন।

 

শুক্রবার দুপুরের আগে বাড়িতে ফিরলেও ছেলে ও পুত্রবধূ তাকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেন। তিনি জানান, ওখানে সরকারিভাবে তার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ফল নেগেটিভ। এছাড়া অন্য ঘরে একা থাকবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ছেলে ও পুত্রবধুকে রাজি করিয়ে ঘরে ঢুকতে ব্যর্থ হন তিনি।

 

উপায় না পেয়ে বাড়ির পাশে রাস্তায় বসে পড়েন তিনি। প্রতিবেশীরা কিছু খাবার ও পানির ব্যবস্থা করে দেয়। এই খবর শুনে স্থানীয় কাউন্সিলর পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। বৃদ্ধার ছেলেকে বুঝিয়ে মাকে ঘরে ফিরিয়ে নিতে রাজি করালে অবশেষে ‍ঘরে ঢোকার অনুমতি মেলে তার।

 

তার ছেলে বলেন, ঘরে অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের কারণে তিনি এটা করেন। তবে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, বৃদ্ধার দেহে করোনার কোনো উপস্থিতি ছিল না। তারা তার ছেলেকে এটা নিশ্চিত করেন। এছাড়া আরও বলেন, যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে ফের তার করোনা পরীক্ষা করানো হবে তার।

খবরটি সবার সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও খবর...।