নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জঃ
রাজশাহীর সাহেব বাজার এলাকায় পরকীয়ার অভিযোগ এনে স্ত্রীর সাথে প্রকাশ্যে মাঝরাস্তায় টানাহেঁচড়া ও মারপিট করতে দেখা গেছে এক দম্পতিকে। মঙ্গলবার দুপুরে আবাসিক হোটেল নাইস ইন্টারন্যাশনাল এর সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এই নারীর কথিত প্রেমিককেও আটক করে সাধারণ জনগণ। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলা এই টানাহেঁচড়ার পর বোয়ালিয়া থানা পুলিশ তাদের তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
ঢাকায় একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করা মোকসেদ আলী (৩৫) জানান, তার স্ত্রী তাঁজিল মাহনাজ বিথী (৩৪) দীর্ঘদিন ধরে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ বাহাদুরপুরের সারোয়ার করিম ছোটনের (৩৫) সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িত রয়েছেন। মোকসেদ ও বিথীর আড়াই বছরের দাম্পত্য জীবনে এখন কলহ ছাড়া কিছুই নেই। পুলিশের কাছে বিথী জানিয়েছেন তার বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রঘু নন্দীগ্রামে, বাবার নাম জাবেদ আলী সরকার। তিনি রাজধানীতে হাতিল ফার্নিচার এর একটি শোরুমে কাজ করেন।
অন্যদিকে সারোয়ার করিম ছোটন রাজধানীর নাভানা ফার্নিচার শোরুম এ কাজ করেন। মোকসেদ আলী জানান তার স্ত্রী যখন নাভানা ফার্নিচার শোরুম এ কাজ করতো তখন থেকেই ছোটনের সাথে তার পরকীয়া সম্পর্ক। বিভিন্ন সময়ে বান্ধবীর বাড়ি যাওয়ার কথা বলে প্রেমিকের সাথে ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগ আনেন বিথীর স্বামী। দুদিন আগেও রাজশাহীতে বান্ধবীর বাড়ি আসার নাম করে প্রেমিক ছোটনের সাথে হোটেল নাইস ইন্টারন্যাশনালের ৫০৩ নম্বর রুমে ওঠেন বিথী।
বান্ধবীর বাড়ি গিয়ে একটি সেলফি তুলে স্বামীকে পাঠিয়ে তিনি জানান তিনি বান্ধবের বাড়িতেই আছেন। এদিকে মোকসেদ আলী খুঁজতে খুঁজতে হোটেল নাইসে তাদের দুজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। দুপুরে সড়কের মধ্যে প্রকাশ্যে এই তিনজনের মারামারি দেখে এগিয়ে আসে স্থানীয়রা। তারা তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে বোয়ালিয়া থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের নিয়ে যায়। থানায় গিয়ে বিথী জানান, মোকসেদ তার স্বামী কিন্তু তিনি তার সাথে থাকতে চান না। বিষয়টি তদন্তের জন্য পুলিশ তিনজনকে পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম জানান, তদন্তের পর স্বামী-স্ত্রী যা চান সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যদি তারা তালাক দিয়ে আলাদা থাকতে চান তাহলে সেটার ব্যবস্থা করা হবে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা কিংবা অভিযোগ দায়ের করেন নি তিন জনের কেউই।
Leave a Reply