নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জ:
প্রেসবিজ্ঞপ্তিঃ নবীন-প্রবীণ কবি-সাহিত্যিকদের মেলবন্ধন তৈরির প্রত্যয়ে এগিয়ে চলা জাতীয় সাহিত্য সংগঠন কাব্যকথা সাহিত্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির ১৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে ১৭ অক্টোবর রাজধানীর শিশু কল্যাণ মিলনায়তনে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১২ তম কাব্যকথা সাহিত্য উৎসব ২০২৫।
এই উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন বাংলা ভাষার অন্যতম কবি শাহীন রেজা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢালিউডের কিংবদন্তি চলচিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার ও লেখক ছটকু আহমেদ।
সমাপনী পর্বে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা আশির দশকের অন্যতম কবি আরিফ মঈনুদ্দীন। উদ্বোধনী পর্বের সভাপতিত্বে ছিলেন কবি মনসুর আজিজ। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা নিবার্হী সভাপতি পুঁথিসম্রাট জালাল খান ইউসুফী ও সাধারণ সম্পাদক কথাশিল্পী খন্দকার আতিকের উপস্থাপনায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক কবি জামালউদ্দিন বারী। দুইপর্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক কবি ড. সাহেদ মন্তাজ, দার্শনিক আবু মহি মুসা। লেখক ও গবেষক কবি নাসির হেলাল, কবি ও গবেষক অধ্যাপক মো: আমির হোসেন। ছড়াপত্র সম্পাদক শিশুসাহিত্যিক চন্দনকৃষ্ণ পাল। বাংলা একাডেমি গবেষণা কর্মকর্তা কথাসাহিত্যিক আইয়ুব মুহাম্মদ খান। বিশিষ্ট ছড়াকার ও শিশুসাহিত্যিক কবি সফিউল্লাহ আনসারী।
বক্তাগণ তাদের বক্তব্যে বলেন, ‘কাব্যকথা সাহিত্য পরিষদ একটি স্বার্থক সাহিত্য সংগঠন, যে সংগঠনটি সুচনা লগ্ন থেকেই বাংলা সাহিত্যের পুঁথি নিয়ে কাজ করে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। এখন পুরো দেশ জুড়েই পুঁথিসাহিত্যের জয়জয়কার। আমরা আশাবাদি আল্পদিনের মধ্যেই পুঁথিসাহিত্যের মাধ্যমে বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক বিপ্লব ঘটবে। এ সংগঠন যোগ্য সাহিত্যকর্মিদের মূল্যায়ন করে বলেই আমরা দেখতে পাই নবীন-প্রবীণ কবি সাহিত্যিকদের মেলবন্ধন। সাংস্কৃতিক বিপ্লবের পাশাপাশি শুধু কবিসাহিত্যিকদের মেলবন্ধন নয় সবর্ত্র, সকল সেক্টরে মেলবন্ধন তৈরি করতে হবে। রাজনৈতিক অঙ্গনেও সহাবস্থান তৈরি করতে হবে, ধর্মিয় অঙ্গনেও সম্প্রীতির সুবাতাস বইয়ে দিতে হবে। তবেই সম্প্রীতির সোনার বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাসিক কাব্যকথার সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি বিশিষ্ট কথাশিল্পী কবি সুফিয়া বেগম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কবি শিবির আহমেদ লিটন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কবি শফিকুল ইসলাম আরজু, সংগঠনের আইন বিষয়ক সম্পাদক বিশিষ্ট আইনজীবী কবি শামীমা আক্তার শিউলী ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য কবি কাজী আনিসুল হক।
কথা-কবিতা ও ছড়া পাঠ করেন, কবি মুনীরুল ইসলাম, কবি মনিরুজ্জামান পলাশ, ছড়াসাহিত্যিক মালেক মাহমুদ, কবি মুস্তফা ইসলাহী, কবি সুমন রায়হান, কবি কাদের বাবু, কবি কবির ভূইয়া, কবি তাজিদুল ইসলাম, কবি অজিদ কুমার দাশ, কবি শাহ্ সুলতান মিথুন, কবি আবুল বাসার শেখ, কবি জিহাদ চৌধুরী, কবি আফজাল হাসান, কবি মাহমুদা পাখি, রাশিদা ইসলাম, গীতিকার দিপাশ আনোয়ার, কবি ইকবাল হোসেন রোমেছ, কবি মিথুন খান, কবি শুক্কুর মাহমুদ জুয়েল, কবি জহিরুল ইসলাম মিন্টু, কবি শাহানা মান্নান, কবি আতিকুজ্জামান খান, কবি কাজী ইমাম, কবি খোন্দকার জিল্লুর রহমান। অনুষ্ঠানে কাব্যকথা সাহিত্য সম্মাননা ও লোক কবি ইউসুফ খান স্মৃতি সম্মাননা পেয়েছেন, কথাশিল্পী গোলাম রব্বানী টুপুল, কাব্যসাহিত্যে অবদানের জন্য কবি শাহানা মান্নান বুলবুল, কবি খালেদা আক্তার, প্রবন্ধ সাহিত্যের জন্য জাহিদ হাসান নয়ন, সম্পাদনায় কৃতিত্বের জন্য সম্পাদক কবি খোন্দকার জিল্লুর রহমান, সমাজ সেবায় মোহাম্মদ আল আমিন রহমান, আনোয়ার হোসেন মোল্লা, মানবাধিকার কর্মি মোছা: রাশিদা ও লালা মিয়া মেম্বার, আইন পেশায় বিশেষ অবদানের জন্য সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী সৈয়দ মাহাবুব আলম। প্রেমাঞ্জলি উপন্যাসের জন্য উপন্যাসিক আফজাল হাসান, সাংগঠনিক র্কাযক্রমে অবদানের জন্য কাসাপের সংগঠনিক সম্পাদক কবি শফিকুল ইসলাম আরজু। মাসিক কাব্যকথার সহকারী সম্পাদক সাংবাদিক ও কলামিষ্ট আনোয়ার হোসেন রনিকে অভিনন্দনপত্র প্রদান করা হয়।
সংগঠনের পক্ষে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেয়া হয় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও উদ্বোধকের হাতে। সংগীত পরিবেশন করেন কন্ঠশিল্পী ঢালী মোহাম্মদ দেলোওয়ার, কন্ঠশিল্পী সালমান ফারসী ও কন্ঠশিল্পী সেলিম রেজা প্রমুখ। সব শেষে পুঁথিপাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
Leave a Reply