নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জ:
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৫ নং ওয়ার্ডের দুইবারের নির্বাচিত সফল ও জনপ্রিয় কাউন্সিলর, সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিনের সহকারী ব্যাক্তিগত কর্মকর্তা গোলাম মুহাম্মাদ সাদরিল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তার নির্বাচনী ভাবনা। তিনি সাংবাদিকদের সাথে খোলামেলা আলোচনায় বলেন, তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বিএনপি থেকে মনোনীত সাবেক সফল সংসদ সদস্য ছিলেন। আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলহাজ্ব মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে নারায়ণগঞ্জবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন তিনি।
গোলাম মুহাম্মাদ সাদরিল, একজন সফল জনপ্রতিনিধি হিসেবে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৫ নং ওয়ার্ডের মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। আমরা জানতে পেরেছি যে, আপনার বাবা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, আগামী ২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ থেকে আবারও অংশ নিতে ইচ্ছুক। একজন পুত্র হিসেবে এবং একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে আপনার বাবার এই সিদ্ধান্তে আপনার অনুভূতি কি?
এই প্রশ্নের জবাবে সাদরিল বলেন, দেখুন, আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি জাতির জন্য যুদ্ধ করেছেন, আর জীবনের সিংহভাগ সময় জনগণের জন্য কাজ করেছেন। তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি সবসময় জনগণের পাশে ছিলেন, তাদের সুখ-দুঃখে অংশীদার হয়েছেন। তার সেই অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা এবং জনগণের প্রতি তার যে অপরিসীম ভালোবাসা, তা আমি কাছ থেকে দেখেছি। তার আবারও সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগ্রহ আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের বিষয়। আমি মনে করি, এই সময়ে তার মতো একজন অভিজ্ঞ এবং প্রবীণ নেতার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করাটা অত্যন্ত জরুরি। একজন পুত্র হিসেবে আমি তাকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছি, এবং একজন কর্মী হিসেবে তার সিদ্ধান্তকে আমি সাধুবাদ জানাই। তার নেতৃত্বেই নারায়ণগঞ্জ আবারও নতুন দিনের সূচনা হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
সাদরিল বলেন, আমার বাবা আমার রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষক। তার কাছ থেকে আমি শিখেছি কিভাবে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হয়, তাদের সমস্যার কথা শুনতে হয় এবং সমাধানের জন্য কাজ করতে হয়। তার এই প্রত্যাবর্তনে আমার ব্যক্তিগত করণীয় হবে তার পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা। আমি আমার সকল শক্তি, অভিজ্ঞতা এবং কর্মনিষ্ঠা দিয়ে তার নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নেব। আমার ওয়ার্ডের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমি নারায়ণগঞ্জ এর প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছানোর চেষ্টা করব। আমি তার নির্বাচনী প্রচারে সক্রিয় ভূমিকা রাখব, মানুষের কাছে তার দীর্ঘদিনের সেবামূলক কাজের বার্তা পৌঁছে দেব এবং তার ভিশন তুলে ধরব। আমার লক্ষ্য থাকবে যেন আমার বাবার স্বপ্ন সার্থক হয় এবং তিনি আবারও জনগণের সেবার সুযোগ পান।
সাদরিল নারায়ণগঞ্জ বাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের সম্মিলিত ভাবনা হলো নারায়ণগঞ্জ এর জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা এবং এই অঞ্চলকে আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ করা। আমার বাবা তার অভিজ্ঞতার আলোকে একটি বৃহত্তর পরিসরের উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেন, আর আমি আমার কাউন্সিলর জীবনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল পর্যায়ের সমস্যাগুলো সমাধানে বদ্ধপরিকর। আমরা একটি উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ এবং পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের দিকে নজর দেব। আমরা একসাথে কাজ করে প্রমাণ করতে চাই যে, একটি পরিবার যখন জনগণের সেবায় নিবেদিত হয়, তখন তা বৃহত্তর কল্যাণে ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা জনগণকে এই বার্তা দিতে চাই যে, আমরা তাদেরই লোক, তাদেরই পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সাদরিল বলেন, আমার দলের সকল নেতাকর্মী, আপনারা আমাদের শক্তি, আমাদের মেরুদন্ড। আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ছাড়া কোন কিছুই সম্ভব নয়। আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমার বাবার এই সিদ্ধান্ত আপনাদের সবার জন্য একটি নতুন উদ্দীপনা নিয়ে এসেছে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমার বার্তা খুব স্পষ্ট: ঐক্যবদ্ধ থাকুন, শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকুন এবং জনগণের সাথে দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রাখুন। কোন ধরনের বিভেদ বা ভুল বোঝাবুঝি যেন আমাদের মধ্যে সৃষ্টি না হয়। শান্তিপূর্ণভাবে এবং আইন মেনে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করুন। প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে আমার বাবার দীর্ঘদিনের অবদান এবং তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরুন। মনে রাখবেন, আমার বাবা একজন পরীক্ষিত নেতা, এবং তার অভিজ্ঞতা এই অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। আমরা সবাই মিলেমিশে কাজ করলে ইনশাআল্লাহ, বিজয় সুনিশ্চিত।
নারায়ণগঞ্জের জনগণের উদ্দেশ্যে সাদরিল বলে, নারায়ণগঞ্জ আমার শ্রদ্ধেয় জনগণ, আপনারা আমার বাবা এবং আমাদের পরিবারের প্রতি সবসময় যে ভালোবাসা ও আস্থা রেখেছেন, তার জন্য আমি আপনাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। আমার বাবা তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আপনাদের সেবা করতে চান। তার অভিজ্ঞতা, সততা এবং দেশপ্রেম আপনাদের জন্য সবচেয়ে বড় সম্পদ। আমি আপনাদের ভাই হিসেবে আপনাদের কাছে অনুরোধ করব, আগামী ২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা আপনাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে আমার বাবাকে আবারও আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন। তিনি আপনাদের আস্থা ও বিশ্বাসকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন এবং আপনাদের প্রত্যাশা পূরণে সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। আপনাদের দোয়া ও সমর্থন আমাদের কাম্য।
Leave a Reply