সোমবার, ১৪ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
শিরোনামঃ
সিদ্ধিরগঞ্জে সাড়ে ৩ কোটি টাকার মামামাল ডাকাতির ঘটনায় ১ জন গ্রেপ্তার  বন্দরে ওয়ারেন্টভুক্তসহ তিন আসামি গ্রেপ্তার এই উৎসবকে প্রাণবন্ত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে: ডিসি আড়াইহাজারে গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা  ফতুল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার  জেলা প্রশাসকের আহবানে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে  পালিত হতে যাচ্ছে বাংলা বর্ষবরণ কারাগার থেকে মুক্ত জাকির খান টাঙ্গাইল জেলা সমিতি, নারায়ণগঞ্জ’র ঈদ পুনর্মিলনী ও দোয়া অনুষ্ঠিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে যোগ না দেওয়ায় তিনটি পোশাক কারখানায় ভাঙচুর ফতুল্লায় কোলের শিশুকে জিম্মি গৃহবধূকে দফায় দফায় ধর্ষণ

অবশেষে রোববার কারামুক্ত হচ্ছেন জাকির খান 

নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জ: 

নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় খালাস পাওয়ার পর আগামী রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে কারামুক্ত হচ্ছেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান। আদালতের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ায় তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।

চারটি হত্যা মামলাসহ মোট ৩৩টি মামলার আসামি ছিলেন জাকির খান। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর র‌্যাব-১১ এর একটি অভিযানে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ধাপে ধাপে বিভিন্ন মামলায় জামিন পান তিনি। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি সাব্বির আলম হত্যা মামলার রায়ে তিনি এবং মামলার অন্য আসামিরা খালাস পান।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মমিনুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। এরপর জাকির খানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাজিব মন্ডল জানান, “জাকির খানের বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা ছিল। এরমধ্যে ৩০টিতে তিনি খালাস পেয়েছেন। বাকি দুটি মামলায় জামিনে আছেন। আদালতের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছেছে, তাই তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।”

এ মামলায় খালাস পাওয়া অন্যান্য আসামিরা হলেন—জাকির খানের দুই ছোটভাই জিকু খান ও মামুন খান, তার সহযোগী জঙ্গল ওরফে লিটন, মোক্তার হোসেন, নাজির আহমেদ, আব্দুল আজিজ এবং মৃত মনিরুজ্জামান শাহীন।

২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে মাসদাইর এলাকায় নিজ বাসার সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় বিকেএমইএ’র সাবেক সহ-সভাপতি সাব্বির আলম খন্দকারকে। নিহত সাব্বির বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা (বহিষ্কৃত) ও বর্তমানে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের ছোট ভাই।

ঘটনার পর তার বড় ভাই তৈমুর আলম খন্দকার বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের তৎকালীন বিএনপি সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, জাকির খানসহ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করা হয়। সিআইডি তদন্ত শেষে ২০০৬ সালে জাকির খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

র‌্যাব জানিয়েছে, নব্বইয়ের দশকে জাতীয় পার্টির ছাত্রসংগঠন থেকে রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করেন জাকির। পরে তিনি বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলের নেতৃত্বে আসেন। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজিসহ বহু অভিযোগ রয়েছে। একসময় শহরের শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি।

র‌্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, সাব্বির হত্যা মামলার পর জাকির খান দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ডে পালিয়ে যান। এরপর প্রায় দুই দশক দেশে না থেকে ২০২১ সালে ভারত হয়ে ফের দেশে আসেন। পরে র‌্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারের পর সাব্বির হত্যা মামলার বিচার কাজ গতি পায়। গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এই মামলার বাদী তৈমুর আলম খন্দকার আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তি ঘটে।

খবরটি সবার সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও খবর...।