শনিবার, ২রা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
শিরোনামঃ
সাবেক কাউন্সিলর ইকবালের শাশুড়ীর রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া তারা ‘মব জাস্টিস’-এর মাধ্যমে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে: রফিউর রাব্বি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা এদেশের ৯৯% মানুষই ধর্মীয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী: এড. সাখাওয়াত  বন্দরে কুদ্দুস হত্যা মামলার প্রধান আসামি রানা গ্রেপ্তার  আমরা এমপি হতে চাই, নেতা হতে চাই; কিন্তু জনগণ চায় সেবা: গিয়াসউদ্দিন  মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়কের বেহাল দশা,সংস্কারের দাবিতে সড়ক অবরোধ জাতীয়তাবাদী দলের প্রাণ হচ্ছে তৃণমূলের নেতা-কর্মী: আবুল কাউছার আশা নারায়ণগঞ্জ ৫ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করবেন সাদরিল সেলিম-শামিম ওসমানরা বন্দরে সুবেদারের সুবেদার সরকার নিয়োগ করেছিল:এড. সাখাওয়াত 

যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তাদের টাকা ফেরত দেন অন্যথায় ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকব: এড. সাখাওয়াত 

নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জ:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, গত ১৫ বছর ধরে বন্দরের মানুষ ভালো ছিল না কারণ এখানে অপশাসন চলছিল। তিনি বলেন, “এই বন্দরে চলত ওই সেলিম ওসমানের শাসন, তিনি এই বন্দরকে তার পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করেছিলেন। আর তার কিছু সর্দার, মানে লাঠিয়াল ছিল, তাদেরকে ব্যবহার করে তিনি জনগণের সম্পদ লুট করেছিলেন।”

মঙ্গলবার বিকেলে মুছাপুর ইউনিয়নের হরিবাড়ি এলাকায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অন্তর্গত বন্দর উপজেলা বিএনপির আওতাধীন মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সাখাওয়াত হোসেন খান আরও বলেন, বন্দর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা সেলিম ওসমানের লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিলেন। তিনি বিশেষভাবে মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের কথা উল্লেখ করে বলেন, “মাকসুদ হোসেন কিন্তু সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের অন্যতম দোসর ছিলেন। মুছাপুরে এমন কোন অপকর্ম নাই যা তিনি করেন নাই।”

তিনি অভিযোগ করেন, “জুলাই বিপ্লবের আন্দোলন যারা করেছে তারা কিন্তু কোন কিছুই করে নাই। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি ৫ই আগস্টের পরই ওই স্বৈরাচারের দোসর মাকসুদ হোসেন ও তার ছেলের নেতৃত্বে জনগণের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে ২৫ থেকে ৩০টি বাড়িতে আগুন দিয়েছে এবং লুটপাট করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।” যাদের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে, তাদের আইনি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।

সাখাওয়াত হোসেন খান মাকসুদ হোসেনের আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণের ইচ্ছার সমালোচনা করে বলেন, “মাকসুদ চেয়ারম্যান এখন আবার নির্বাচন করতে চায়, এমপি হওয়ার সাধ জেগেছে। শেখ হাসিনা ও সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের দোসর তাকে বাংলার মাটি তথা বন্দরের মাটিতে কোন স্থান নাই। তাদের স্থান হবে ওই জেলখানায়।” তিনি আরও বলেন, মাকসুদের বিরুদ্ধে অনেক বৈষম্য বিরোধী মামলা রয়েছে।

গ্যাস সংযোগ দেওয়ার নামে মাকসুদ হোসেন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন সাখাওয়াত। তিনি বলেন, “যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তাদের টাকা ফেরত দেন। অন্যথায় আমরা আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকব।” বিএনপি ক্ষমতায় এলে বন্দরে গ্যাসের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারা মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির, ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

খবরটি সবার সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও খবর...।