শুক্রবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
শিরোনামঃ
হোটেল বয় থেকে কোটি টাকার মালিক সাইজদ্দিন মাতাবর দীর্ঘ ২১ বছর পর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাসুম গ্রেপ্তার  এক ট্রাকের ধাক্কায় অপর দুই ট্রাকের চালক নিহত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ২১ জন বীরের পরিবারের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান নারায়ণগঞ্জ শহরকে একটি পরিচ্ছন্ন, দৃষ্টিনন্দন ও গ্রিন সিটিতে রুপান্তরে জেলা প্রশাসন অঙ্গীকারবদ্ধ–ডিসি ফতুল্লায় মনন এর বাংলা বর্ষবরণ সোনারগাঁয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী পিয়ালসহ তিনজন গ্রেপ্তার  নববর্ষ উপলক্ষে ফুটবল, ঘুড়ি উৎসবসহ গ্রামীণ খেলাধুলার আয়োজনে মহানগর বিএনপি মানবিক ডিসি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিয়ার গ্রিন এন্ড ক্লিন কর্মসূচির কার্যক্রম অব্যাহত তারেক রহমান আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, জনগণের দুঃখ-দুর্দশা জানতে হবে, জনগণের কাছে যেতে হবে–গিয়াসউদ্দিন

বরিশালের যমজ দুই বোনের সঙ্গে বিয়ে হলো পিরোজপুরের যমজ দুই ভাইয়ের সাথে

নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জঃ

বরিশালের যমজ দুই বোনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন পিরোজপুরের যমজ দুই ভাই।

এই বিয়ে দেখতে সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে অনুষ্ঠানে ভিড় জমায় বরিশালের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। যমজ বোনের সঙ্গে যমজ ভাইয়ের বিয়ের খবর শুনেই ছুটে এসেছেন তারা। এছাড়াও মেয়ে বাড়ি এলাকার লোকজনও বেশ আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়েই বিয়ে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।

সোমবার রাত ১১টায় নগরীর নাজির মহল্লা এলাকায় এই বিয়ে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৯টায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় রাত ১১টায়।

জানা গেছে, বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী ও নগরীর নাজির মহল্লা এলাকার বাসিন্দা স্বপন কর্মকারের দুই মেয়ে সোনালী কর্মকার সোনা ও রূপালী কর্মকার রূপা। এরা দুজনই যমজ। এর মধ্যে আবার সোনালী বড় এবং ছোট রূপালী। অপরদিকে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি থানা এলাকার ইন্দেরহাটের স্বর্ণের পৃথক দোকানী এবং স্বর্ণকার ও স্বর্গীয় নিখিল লাল কর্মকারের ছেলে সজল কর্মকার এবং কাজল কর্মকার। এরাও যমজ হলেও এদের মধ্যে সজল বড় ও কাজল ছোট সময়ের সামান্য ব্যবধানে। মাস কয়েক আগে সম্বন্ধ দেখাদেখির মাধ্যমে পাকাপাকি হয় সোনা-রূপা আর সজল-কাজলের বিয়ে। আর সোমবার রাতে ছিল বিয়ের দিনক্ষণ। যা সুষ্ঠুভাবে এবং নানা আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমেই শেষ হয়েছে।

যমজ বোনের সঙ্গে যমজ ভাইয়ের বিয়ে এমন খবর শুনে নগরীর ভাটিখানা থেকে বিয়ে অনুষ্ঠান দেখতে যাওয়া রতন ঢালী জানান, দাওয়াত নেই তবুও উৎসুক হয়ে এসেছি বিয়েটি দেখতে। ভালোই লাগছে। আলাদাভাবে দুই বোন এবং দুই ভাইয়ের বিয়ে হচ্ছে তাও একই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।

রাজীব কর্মকার নামে মেয়ে পক্ষের এক স্বজন জানান, যমজের সাথে যমজের বিয়ে বিষয়টা খুবই আনকমন। তাই এই আনকমন বিয়েতে অংশগ্রহণ করতে আত্মীয় হিসেবে আমিও ছুটে এসেছি।

উজ্জল দাস নামে ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, অনেক লোক এসেছে বিয়ে দেখতে। কেউ দাওয়াত পেয়ে আবার কেউ দাওয়াত না পেয়ে। তবে খুব ভালোই লাগছে। এরকম বিয়ে তো সচরাচর দেখা যায় না।
এদিকে এই দুই নবদম্পতি যাতে সুখী হয় সেই জন্য দোয়া ও প্রার্থনার কথা জানিয়েছেন তাদেরই স্বজনরা।

খবরটি সবার সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও খবর...।