বুধবার, ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
শিরোনামঃ
সিদ্ধিরগঞ্জে তিন কেজি গাঁজাসহ ৩ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার  সিদ্ধিরগঞ্জে ১ হাজার পিস ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার  নতুন বছর উদযাপনের নামে আতশবাজি ও ফানুস উড়ানো বন্ধের আহ্বান গাড়ি বা বাড়ি কিছু নেই আজাদের, স্ত্রী’র সম্পদ বেড়েছে ৮৪১ গুন  মরহুমা বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অংশগ্রহণ  আরেকটি আসনে বদল করলো বিএনপি মাসুদুজ্জামানের উদ্যােগে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা ও তারেক রহমান পরিবারসহ স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে দোয়া  দিপু ভূইয়ার নেতৃত্বে তারেক রহমানের সংবর্ধনায় বিশাল শোডাউন  মাসুদুজ্জামানের পক্ষে তারেক রহমানের সংবর্ধনায় হাজারোও নেতাকর্মী নিয়ে অংশ গ্রহণ  নারায়ণগঞ্জে শব্দদূষণ রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান; ৩ টি যানবাহনকে জরিমানা 

গাড়ি বা বাড়ি কিছু নেই আজাদের, স্ত্রী’র সম্পদ বেড়েছে ৮৪১ গুন 

নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জঃ 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদের কোনো ব্যক্তিগত গাড়ি বা বাড়ি নেই কিন্তু রয়েছে ২৭ কোটি টাকা ঋণ। তবে, গত সাত বছরে তার স্ত্রী খন্দকার নাঈমা নুসরাতের সম্পদ ও অর্থ বেড়েছে ৮৪১ গুণ। শোধ হয়েছে কোটি টাকার ঋণও।

নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া সম্ভাব্য এ সংসদ সদস্য প্রার্থীর হলফনামা বিশ্লেষণে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

হলফনামায় তিনি নিজের এবং তার উপর নির্ভরশীল স্ত্রী-সন্তানের আয়, সম্পদ ও ঋণের তথ্য উল্লেখ করেছেন। যাতে বলা হয়েছে, আজাদের তুলনায় বর্তমানে তার স্ত্রী খন্দকার নাঈমা নুসরাতের সম্পদ ১২ গুণেরও বেশি।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আসনটিতে ধানের শীষের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে আজাদ বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক।

বর্তমানে আজাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে মোট ১ কোটি ২৯ লাখ ৬৮ হাজার ৭৫০ টাকা। এবং তার স্ত্রীর রয়েছে ১৬ কোটি ৮২ লাখ ৮৩ হাজার ৭৬৮ টাকার সম্পদ।

যদিও ২০১৮ সালে স্ত্রীর কাছে কেবল নগদ ২ লাখ টাকা ছিল বলে ওই সময় হলফনামায় উল্লেখ করেছিলেন বিএনপির এ প্রার্থী। বর্তমানে তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৮৪১ গুণ।

হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পেশায় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম আজাদের বাৎসরিক আয় ৯ লাখ ৪ হাজার টাকা। এ খাতের বাইরে তার আর কোনো আয় নেই।

তার স্ত্রীও ব্যবসাখাত থেকে প্রতি বছর ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯৮ টাকা আয় করেন।

যদিও আজাদ এবং তার স্ত্রীর কী ধরনের ব্যবসা রয়েছে সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ নেই।

তার দুই ছেলে সন্তান থাকলেও তারা এখনো ছাত্র বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তাদের কোনো আয় হলফনামায় দেখানো হয়নি।

অস্থাবর সম্পদ
বর্তমানে নজরুল ইসলাম আজাদের অস্থাবর সম্পদের মূল্য ৭৫ লাখ ১৮ হাজার ৭৫০ টাকা এবং তার স্ত্রীর ১৪ কোটি ৮০ লাখ ৬৮ হাজার ৭৬৮ টাকা।

এর মধ্যে আজাদের নগদ রয়েছে ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৭৫০ টাকা। বিপরীতে তার স্ত্রীর নামে নগদ ১৪ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ৮০ টাকা রয়েছে।

এছাড়া, বিএনপির এ প্রার্থীর নামে ব্যাংকে কোনো টাকা না থাকলেও ১৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকার প্রাইজ বন্ড রয়েছে।

অন্যদিকে, তার স্ত্রীর নামে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৮৮ টাকার পাশাপাশি ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার প্রাইজ বন্ডও রয়েছে।

আজাদের উপহার হিসেবে পাওয়া স্বর্ণ রয়েছে ৪০ ভরি কিন্তু তার স্ত্রীর রয়েছে ৪ ভরি কম।

অস্থাবর সম্পদের তালিকায় আজাদ এবং স্ত্রীর নামে ইলেকট্রনিক্স পণ্য, আসবাবপত্রও দেখানো হয়েছে।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নজরুল ইসলাম আজাদের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ২৬ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।

ওই সময় তার স্ত্রী খন্দকার নাঈমা নুসরাতের কাছে কেবল ২ লাখ টাকা নগদ থাকলেও তার কোনো আয় ছিল না। বর্তমানে তার সম্পদ কয়েকশ’ গুণ বেড়েছে। তার কাছে নগদই রয়েছে ১৪ কোটিরও বেশি টাকা।

স্থাবর সম্পদ
আজাদের স্থাবর সম্পদের তালিকায় কেবল দশমিক ২৫ শতাংশ জমির উপর দোকান এবং ৪৬ শতাংশ ভূমি হেবা সূত্রে প্রাপ্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ সম্পদ অর্জনের সময় মূল্য ছিল ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যার বর্তমান মূল্য ১ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে।

তবে, হেবায় পাওয়া সম্পদের মূল্য তিনি উল্লেখ করেননি।

অন্যদিকে, তার স্ত্রীর নামে ৪৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ জমি রয়েছে, যার ক্রয়ের সময় মূল্য ছিল ২ কোটি ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা। যার বর্তমান মূল্য ৪ কোটি টাকা।

যদিও গতবার নির্বাচনের সময় আজাদ বা তার উপর নির্ভরশীল কারও নামে কোনো স্থাবর সম্পদ তথা, জমি বা অন্য কিছু ছিল না।

দায় ও ঋণ
এ বিএনপির প্রার্থী কিংবা তার উপর নির্ভরশীলদের কোনো দায় নেই। তবে, বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখায় মেসার্স এস অ্যান্ড জে স্টীল মিলের ৪০ শতাংশ অংশীদার হিসেবে তার নামে ২৭ কোটি ৩ লাখ ৬৬ হাজার ২৩০ টাকার ঋণ রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের নামে মোট ৬৭ কোটি ৫৯ লাখ ১৫ হাজার ৫৭৫ টাকা ঋণ রয়েছে।

২০১৮ সালে একই প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে তার ৭১ কোটি ৪৯ লাখ ১৫ হাজার ৫৪৫ টাকা ব্যাংক ঋণ ছিল। তার নির্ভরশীলদের নামে ১ কোটি ৬ লাখ টাকা ঋণ ছিল। যদিও এবার তার নির্ভরশীলদের নামে কোনো ঋণ নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

তাদের আয়কর দাখিলের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে আজাদ ৫৮ হাজার ৪১০ টাকা আয়কর দিয়েছেন, অন্যদিকে তার স্ত্রী ৩৫ হাজার ৭৪৪ টাকা আয়কর দিয়েছেন। যদিও আজাদের তুলনায় ৬ গুণেরও বেশি সম্পদ দেখানো হয়েছে তার স্ত্রীর।

তাদের দু’জনের কারোরই ব্যক্তিগত গাড়ি বা বাড়ি নেই।

মামলা
হলফনামার তথ্য অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ২৬টি মামলা ছিল। তার মধ্যে ২৪টিতে তিনি খালাস পেয়েছেন। বিস্ফোরক আইনের একটি মামলা এখনো চলমান এবং অর্থ ঋণ আদালতে করা একটি মামলা উভয়পক্ষের মিমাংসায় সেটি স্থগিত রয়েছে।

২০১৮ সালে তার বিরুদ্ধে মোট ১৪টি মামলা ছিল।

খবরটি সবার সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও খবর...।