নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও ব্যবসায়ী নেতা মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেছেন, “বন্দরবাসী বহু যুগ ধরে অপরাজনীতির শিকার হয়ে আসছে। শহর বা বন্দর থেকে মানুষ আশার ডুলি নিয়ে ভোট বাক্সে ভরে যায়, তারপরই শুরু হয় বন্দরবাসীকে নিয়ে নানা রকম রাজনীতি।”
বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে বন্দর প্রেসক্লাব আয়োজিত ‘কেমন বন্দর চাই’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদুজ্জামান বলেন, “এই নির্বাচনকালীন সময়ে যদি টাকার অপব্যবহার হয়, যদি টাকা দিয়ে ভোট কেনা হয়—তাহলে বন্দর নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন হবে না। যারা পাঁচ কোটি টাকা খরচ করবে, তারাই পরবর্তীতে ১০০ কোটি টাকা ঘরে তুলবে। এই রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। মানুষকে বুঝাতে হবে—আমরা এক কাপ চাও খাব না।”
তিনি আরও বলেন, “আমার কাছে কিছু নাই। আমাকে আল্লাহতালা মডেল গ্রুপের পাহারাদার করেছেন, মালিক করেননি। আজ আছি, কাল নেই। আমার যা আছে তা হলো অভিজ্ঞতা। প্রবীণরা সেই অভিজ্ঞতা নবীন ও যুবকদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে পারে।”
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গত ১৬ বছরের আন্দোলনে আমাদের নেতাকর্মীরা হামলা, মামলা, গুম, হত্যার শিকার হয়েছে। ৫ আগস্টের ছাত্রজনতার বিপ্লব সেই আন্দোলনেরই ফসল। এর জন্য বিএনপিকেই সবচেয়ে বড় ত্যাগ দিতে হয়েছে। আমাদের কোনো নেতাকর্মী ঘরে থাকতে পারেনি।”
সমালোচকদের উদ্দেশে মাসুদুজ্জামান বলেন, “অনেকে বলে, আমি এতদিন কোথায় ছিলাম। আমি বলি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জিজ্ঞেস করুন আমি এতদিন কোথায় ছিলাম।”
তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্টের পর আমি শ্বাস নিতে পেরেছি। যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন—তাদের অবদান আমরা কোনোদিন ভুলব না। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আহতদের চিকিৎসা ও সহযোগিতায় আমরা ছিলাম—খুব গোপনীয়ভাবে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিষয়টি জানেন।
বন্দরবাসীর সমস্যা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বন্দরবাসীর ট্যাক্স, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সেতু—এসব যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে আমি পাশে থাকব। স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও বন্দরে সেতুর সংকট রয়ে গেছে। এখানে একটি সেতু হলেও আরেকটি সেতু নির্মাণ নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। এসব দাবিতে বন্দরবাসীর পক্ষে আমি কাজ করব। কোনো স্কুল বা প্রতিষ্ঠানের সমস্যা সমাধানে আমার সহায়তা লাগবে না, ভোটও লাগবে না।
সভায় বক্তব্য রাখেন বন্দর প্রেসক্লাবের সহসভাপতি দ্বীন ইসলাম দিপু, সাংবাদিক ইমন শাহরিয়ার, বন্দর নাগরিক কমিটি (বনাক)-এর সাধারণ সম্পাদক কবির সোহেল, বন্দর উন্নয়ন ফোরামের আহ্বায়ক হাফেজ মো. কবির হোসাইন, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু, লক্ষণখোলা আলহাজ ফজলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহতাব উদ্দিন এবং শিক্ষানুরাগী রোটারিয়ান নুরুল ইসলাম।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি আতাউর রহমান। উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, সদস্য মনোয়ার হোসেন শোখন, শহিদুল ইসলাম রিপন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ লিটন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের শাখাওয়াত ইসলাম রানা, কৃষকদল সভাপতি এনামুল খন্দকার স্বপনসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।