নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জ:
স্টাফ রিপোর্ট.
১৬বছর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা জবরদখল করে দেশ শাসন করেছে। দেশের প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে তাদের স্বার্থে দেশের অর্থ সম্পদ লুণ্ঠন করে চুরি করে ডাকাতি করে বিদেশে পাচার করে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।অনেক আন্দোলন সংগ্রাম আমরা করেছি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে।
আপনারা জানেন শেখ হাসিনার আমলে অনেক গডফাদার অনেক সন্ত্রাসী তৈরি হয়েছে। তেমনি এক গডফাদার তৈরি হয়েছিল আমাদের নারায়ণগঞ্জে।
সন্ত্রাসীদের স্বর্গ রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেছিল। গড ফাদারের এক বিশিষ্ট সন্ত্রাসী ছিল এই শিমরাইল এলাকায় । ৭খুন করেছে। এই খুনের কারণে নারায়ণগঞ্জকে সিদ্ধিরগঞ্জ কে চিনেছে সারা বাংলাদেশের মানুষ। ঘৃণা লজ্জায় আমাদের মাথা হেঁটে করে ফেলেছে।
জুয়া, মদ- সেরাব ইত্যাদি নেশা সামগ্রী বিক্রি করে উঠতি বয়সের ছাত্র সমাজের চরিত্র কে সেদিন ধ্বংস করে দিয়েছিল।বিভিন্নভাবে অন্যায় অত্যাচার করেছে মানুষকে। সেদিন মানুষ তার সামনে গিয়ে কথা বলতে পারে নাই তাকে বাধা দিতে পারে নাই । এরকম এক সন্ত্রাসী ছিল এবং এই সন্ত্রাসী একটি গরিব ঘরের সন্তান হয়ে কোটি কোটি টাকা অর্থ সম্পদ লোণ করেছে ভাই বেরাদার আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে। নারায়ণগঞ্জ চোসে বেরিয়েছে। অধঃপতন কিভাবে হয় যারা অত্যাচারিত নিপীড়িত হয়েছে। তারা ফুল দিয়ে একটি ঢিল দিতে পারে নাই তাদেরকে তাদের অপকর্ম অপকর্মের কারণে আল্লাহর তরফ থেকে গজব নেমে এসেছে। তারা আজকে কোথায় বন্দী খাঁচায় জেলখানায়। জেলখানায় থেকেও আজকে তারা অপকর্ম ও লুণ্ঠন করে নেয় তাদের সহযোগী আছে যারা অর্থাৎ সম্পদ সংগ্রহ করে তাদের হাতে তুলে দেয়। সেখানে থেকে তারা ষড়যন্ত্র করে কিভাবে এই এলাকায় হত্যাকান্ড করবে। কিভাবে তারা আবার স্বৈরশাসক নিয়ন্ত্রণ করবে। তাদের ভাই ভাতিজা কিভাবে এলাকার লুণ্ঠন করেছে লুটতরাজ করেছে এবং সকল মেইল ফ্যাক্টরি থেকে চাঁদা খেয়েছে । এবং ষড়যন্ত্র করছে কিভাবে এলাকায় সন্ত্রাস করা যায়। তাদের বিরুদ্ধে অনেক মামলা হয়েছে কিন্তু তাদের সাথে থাকা ঝমঝম করত অস্ত্র তা এখনো উদ্ধার হয়নি । তারা পড়াতক থাকে কোথায় তা আমরা জানি। আমরা প্রতি হিংসা পরার নয়। সেজন্য তাদের ঘরগুলো বাড়িগুলো এখনো যে জায়গায় ছিল সে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। অন্য জায়গায় সেগুলো মাটির সাথে মিশে গেছে আপনারা জানেন। আমি গিয়াস উদ্দিন বলতে পারি প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণ কিছু প্রত্যাশা করে। যারা সন্ত্রাসী করেছে লুণ্ঠন করেছে তাদের আইনানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। এটাই আপনাদের থেকে জনগণ প্রত্যাশা করে।
বৃহস্পতিবার(১০ জুলাই)সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন নাসিক ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য নবায়ন ও সদস্য সংখ্যা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন,
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
থানা বিএনপির সভাপতি মো. মাজেদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মোঃ আব্দুল হাই রাজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম.এ হালিম জুয়েল,সহ-সভাপতি জি.এম সাদরিল,সহ-সভাপতি ডি.এইচ বাবুল, সহ-সভাপতি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি এবং মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক এস. এম আসলাম,সহ-সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামাল,সহ-সভাপতি মো. রওশন আলী,সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদুজ্জামান মন্টু,সহ-সভাপতি মো.জাহাঙ্গীর হোসেন,সহ-সভাপতি মোঃ কামরুল হাসান শরীফ, সহ-সভাপতি মোঃ সেলিম মাহমুদ, ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আনিস সিকদার, জেলা তরুণ দলের সভাপতি টি এইচ তোফা,৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সাবেক আহ্বায় মমতাজ উদ্দিন মন্তু,মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক মো. সাগর প্রধান,২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আলী,৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. তৈয়ব হোসেন,৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী মো. মোস্তফা,৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুর রহমান বাদল প্রমুখ।