নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নিখোঁজের একদিন পর উদ্ধার হওয়া পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া শিশু শিক্ষার্থীর গালে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ ও চিকিৎসক। গালের আঘাতের চিহ্ন ‘মানুষের নখের’ বলে ধারণা ময়নাতদন্ত করা হাসপাতালের চিকিৎসকের।
শিশুটির মৃত্যুর পূর্বে ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন কিনা, তা জানতেও আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) জহিরুল ইসলাম।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল সাতটার দিকে বন্দরের দড়ি সোনাকান্দা এলাকার একটি বাড়ির দরজার সামনে থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটির মরদেহ। রোববার বিকেল চারটার দিকে বাসার সামনে থেকে নিখোঁজ হয় ওই শিশু।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মুক্তার আশরাফ বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, শিশুটি মৃত্যুর পূর্বে যৌন নিপীড়ের শিকার হয়েছিল। তবে, ময়নাতদন্তের পর তা নিশ্চিত করে জানা যাবে।”
নিহত শিশুর নাম আকলিমা। ১৩ বছর বয়সী এ শিশু বন্দরের দড়ি সোনাকান্দা এলাকার মো. আলীর কন্যা। শিশুটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।
নিহতের মা গৃহকর্মী নাসিমা বলেন, “আমার কাছে ভাত খেতে চেয়েছিল। গরম ভাত হয়নি তাই পাশের বাড়িতে ছালা দিতে পাঠিয়েছিলাম। বলছিলাম, আইসা গরম ভাত খাইও। এরপর থেকেই নিখোঁজ মেয়েটা। সারাদিন-রাত অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও পাইনি। পরদিন সকালে বাড়ির পিছনের এক বাড়ির সামনে মেয়েটার লাশ পাই।”
পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পরে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ওসি গোলাম মুক্তার বলেন, “এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অপরাধীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
এদিকে, বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের আরএমও ডা. জহিরুল ইসলাম জানান, “গালে মানুষের নখের মতো এবং গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধর্ষণের আলামত আছে কিনা জানতে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।”