নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জ:
ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল। নানা ত্যাগ, তিতিক্ষা ও নির্যাতন উপেক্ষা করে দলটি এই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। কিছু কিছু মানুষ আছেন যাদের লেবাজ বিএনপির, কিন্তু আওয়ামী লীগ করেন মনেপ্রাণে। তারা বিএনপির ত্যাগ স্বীকারকারী নেতাকর্মীদের সহ্য করতে পারেন না। নিজের স্বার্থের জন্য মিথ্যা প্রচার করে যারা বক্তব্য দেন তাদের প্রতি আমার তীব্র ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা অনেকে আন্দোলন সংগ্রাম করে এ দলটার পাশে ছিলাম, বেঈমানি না করে সকল নির্যাতন সহ্য করেছি। সংগ্রামী নেতাকর্মীদের ওই লোকেরা পছন্দ করেন না।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ফতুল্লার ডিআইটির মাঠের সামনে এই কথা বলেন তিনি। ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ফতুল্লা থানা বিএনপির আয়োজনে এক র্যালির আয়োজন করা হয়। ফতুল্লার ডিআইটি মাঠ থেকে র্যালিটি বের হয়। এর আগে, ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতৃবৃন্দ সাময়িক সময়ের জন্য বক্তব্য রাখেন। এসময় ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন সিকদারসহ দলের সকল নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, তিনি গল্প বানিয়ে মিথ্যাচার করে জন্ম দিয়ে নিজেকে জাহির করতে চান। ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে দলে আসেন। এই দলের নেতাকর্মীরা তাকে গ্রহণ করেছিল এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার বিজয়ও এসেছিল। বিজয়ের পরবর্তীতে দেখা যায় উনি সেই আওয়ামী লীগের রূপ ধারণ করে বিএনপিতে বসে, দলটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে চলেন। বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে উনি আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। উনি গত ১৫ বছর নিখোঁজ ছিলেন। যখন ফতুলা থানার নেতৃবৃন্দ পুনরায় তাকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে নিয়ে আসলো, দায়িত্ব পাওয়ার পর সে আবার পুনরায় আগের রূপে ফিরে এসেছেন। সে মনগড়া কথা বলে, নিজের লোকদের দিয়ে বিএনপি পরিচালনার চেষ্টা করছেন। আমি বলতে চাই, আওয়ামী লীগের কেও কখনো মানুষ হতে পারেন না। যারা শেখ মুজিবকে বুকে লালন পালন করেন, তারা কখনোই শহীদ জিয়ার আদর্শ সৈনিক হতে পারবেন না।
তিনি বলেন, শামীম ওসমান ও জেলা বিএনপির সেই শীর্ষ নেতার মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। পার্থক্য শুধু শামীম ওসমান একটু লম্বা এবং উনি একটু খাটো। শামীম ওসমান প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে হত্যা করে। আপনি গোপনে হত্যা করেন। আপনি যদি পুরনো সেই হত্যার খেলা খেলতে চান, বলতে চাই আপনি ঘুমের ঘোরে আছেন এখনোও। আপনার হাতেও রক্তের দাগ, শামীম ওসমানের হাতেও রক্তের দাগ। শামীম ওসমান তাহাজ্জুদের দোহাই দিয়ে যত অপকর্ম করেছে। আর আপনি নফল নামাজ ও শিক্ষার দোহাই দিয়ে সকল অপকর্ম করে বেরিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আপনি মাইক খাতে নিয়ে মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রশাসনকে হুমকি দিচ্ছেন ব্যবসায়ীদের হুমকি দিচ্ছেন, সাংবাদিকদের হুমকি দিচ্ছেন। কারো বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছেন, তো কাউকে বহিষ্কার করছেন। ভাবছেন এটা কেউ বুঝছে না। এখনো সময় আছে, হামকি ধমকি দিবেন না। শামীম ওসমানের মত লোক ৫ তারিখের পর পালিয়ে গিয়েছে। আপনি সেই জায়গায় এসে নারায়ণগঞ্জের মানুষকে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। আপনি বিএনপিকে বিতর্কিত করছেন। মিথ্যা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে আপনি পার পাবেন না।বিএনপি’র ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য যা যা করা দরকার আপনি তাই করছেন।