নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জঃ
নিজন্ব প্রতিনিধি-
নাঃগঞ্জ রূপগঞ্জ থানা'র মধুখালি এলাকায় মৃত আঃ হক মিয়া'র পুত্র বাদল মিয়া ( ৪০) ও মৃত গণি মিয়ার পুত্র জামান মিয়া(৫৫) এরা এলাকায় একটি সন্ত্রাসী, প্রতারক ও চাঁদাবাজ চক্র বলে দাবী অনেকের। তাঁরা এলাকায় দেশী বিদেশি অস্ত্র প্রদর্শন করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ভয় ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি, লুটপাট, অবৈধভাবে জমি দখল, মাদক ব্যবসাসহ নানাবিধ অপরাধ মূলক কার্যক্রম করে থাকে । বাদল ও জামান তাদের আক্রোশ ও ষড়যন্ত্রের শিকার একই এলাকা মধুখালি'র মৃত :হাজী আঃ বাতেন এর পুত্রমোঃ আক্তার হোসেন (৪২)।
তাঁরা কুট কৌশল অবলম্বন করে মিথ্যা বানোয়াট ঘটনার নাটক সাজিয়ে মামলা মোকদ্দমা দিয়ে আক্তারকে হয়নারি করে চলছে এবং প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিচ্ছে । সেই সাথে বাদল ও জামান দুজন চাচা ভাতিজা মিলে ষড়যন্ত্রের নতুন নতুন খেলায় মেতে উঠেছে। বাদল ও জামান এরা উভয়ে আক্তার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কাছে সত্য ঘটনা গোপন রেখে ভুল তথ্য দিয়ে সংবাদপত্রে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে অপপ্রচার করে আক্তারকে মানসিক ভাবে আঘাত করে এবং সামাজিক ভাবে কুৎসা রটানোর চেষ্টা সহ আইনের চোখে অপরাধী সৃষ্টি করার নিন্দনীয় ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে ভুক্তভোগীর দাবী।
অপরদিকে ক্ষতিগ্রস্ত আক্তার ন্যায় বিচারের দাবীতে বাদল ও জামানের বিরুদ্ধে যে মামলা করেছে সেই মামলা তুলে নিতে বাদী আক্তারকে এ অপরাধী চক্র দফায় দফায় হুমকি দিয়ে যাচ্ছে । আর যদি মামলা তুলে না নেয় তা হলে আক্তারকে প্রাণে মেরে ফেলে লাস গুম করে ফেলবে । তাদের ভয়ে আক্তার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বরাবর সহযোগিতা চেয়ে একটি আবেদন করে বলে যানা যায়। বাদল ও তার চাচা জামান গংদের বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ করেন আক্তার ও তার পরিবার।
ঘটনার বিবরণে ভুক্তভোগী আক্তার বলেন,আমি দীর্ঘ বছর প্রবাস জীবনে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে অর্জিত আয় নিয়ে দেশে চলে আসলে আমার টাকার প্রতি লোলুভ দৃষ্ট পড়ে। আমাকে অনেক কিছু বুজিয়ে বিগত ২৫-০৮-২০২৪ ইং তারিখে তিনশত টাকার স্ট্যাম্পে তার পৈত্রিক জমি হতে ০৩ শতাংশ জমি ২৩ লক্ষ টাকা মূল্য ধরে ১৬ লক্ষ টাকা নগদে বুজে নিয়ে বিক্রি করে এবং বাকি ৭ লক্ষ টাকা আগামী ৫ মাসের মধ্যে আমি দিলে সাফ কবলা দলিল করে দিবে। এই শর্তমতে বাকি টাকা দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করে দিতে বললে সে আমার সাথে নানা ধরনের তালবাহানা করতে থাকে এবং জমির বায়না কৃত টাকা ফেরৎ না দিয়ে উল্টো বায়নার স্ট্যাম্প ফেরত দিতে চাপ প্রয়োগ করে। আমি অসহায় ও নিরুপায় হয়ে রূপগঞ্জ থানায় বাদলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু তাদের প্রভাব ও ক্ষমতার কারনে থানা থেকে এবং সামাজিক ভাবে কোন প্রতিকার না পেয়ে শেষে ন্যায় বিচারের আশায় জেলা- নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী ৩ নং আদালত এ সি আর নং- ৪৯৮ /২০২৪ ও মোকামঃ বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩নং আমলী আদালত, নারায়ণগঞ্জে সি আর মামলা নং- ৫৬২/২০২৪ মামলা দায়ের করি। বর্তমানে মহামান্য আদালতে মামলা চলমান রহিয়াছে।
বাদল ও তার সঙ্গীয় জামান, মাসুম,মানসুর ও জিহাদসহ সঙ্গীয়রা বাদলের বিরুদ্ধে মামলা করায় তাহারা এখন আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের নানা ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি সহ প্রাণে মেরে লাস গুম করে দিবে বলে প্রকাশ্যভাবে বলে বেড়ায়। গত ৫ জানুয়ারী বাদল তার সহযোগী ১০/১৫ জন নিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সন্দেহ জনক ভাবে ঘোরাঘুরি করে। আমার আশংকা বাদল যে কোন সময় আমার ও আমার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। তাদের ভয়ে আমি আতঙ্কিত ও নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছি।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, বাদলের এ সব অপরাধমূলক কাজে সহযোগিতা করে থাকে তার চাচা জামান ও বোন জামাই মাসুম। জামান বিএনপি দলের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় এখন সন্ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করতে চাইছে। সে মসজিদের অনেক টাকা লুটপাট করায় তাকে মসজিদ কমিটি হতে বের করে দেয়া হয়। বাদল আওয়ামী লীগের সময়ে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কাঞ্চন ব্রিজের ট্রাফিক চেক পোষ্টের একজন পুলিশের সোর্স হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা পরিবহন থেকে চাঁদাবাজি করেছে। শুধু তাই নয় সে অনেক মানুষকে প্রতারনার জালে ফেলে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করেছে। এলাকার অনেকেই তাদের ষড়যন্ত্রের শিকার। এলাকাবাসী দাবী তুলে ধরে বলেন এ সব অপরাধীদের শাস্তি হওয়া উচিত। তাহলে অপরাধ মুক্ত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।