নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জঃ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:

আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরোধ ও কৌশলগত প্রচারণা বাড়ছে। বিশেষ করে সম্ভাব্য প্রার্থী মাসুদুজ্জামানকে ঠেকাতে সাবেক এমপি আবুল কালাম ও তার পুত্র আবুল কাউসার আশা সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মাসুদুজ্জামানকে প্রার্থীতা ঘোষনা করার পর গোপন সুত্রে জানা যায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তমতে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মাসুদুজ্জামানকে মনোনীত করার পর থেকে কুচক্রী মহল বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
গোপন সুত্রে জানা যায়,   সাবেক এমপি আবুল কালামের পুত্র  আবুল কাউসার আশা মধ্যে রাতে গোপন মিটিং করে রাস্তা-ঘাট অবরোধ করবে, জ্বালাপোড়াও করে সহিংসতা সৃষ্টি করে নারায়ণগঞ্জকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছে।
এদিকে আরোও জানা যায় তারেক রহমানের মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানকে মানতে না পেরে, গোপনে জাতীয়পার্টির নেতা সেলিম ওসমানের ভ্যানগার্ড স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনকে সমর্থন করছেন আবুল কাউসার আশা।
আরোও জানাযায়,বিগত ১৬ বছর এই আবুল কাউছার আশা সেলিম ওসমানের হয়ে কাজ করেছে এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের বিভিন্ন মামলা হামলার নির্যাতনের নেপথ্যে ছিলেন এই আশা। বিগত সময়ে সেলিম ওসমানের হয়ে এমন কোন কাজ নেই যা আশা করেনি। বিগত আওয়ামীলীগের আমলে সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহনে তারেক রহমানের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও সেলিম ওসমানকে অভিভাবক বানিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন এবং আওয়ামীলীগের পাতানো নির্বাচনে আশা কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর সেলিম ওসমান ও সাবেক মেয়র আইভীর পাঁ ছুয়ে সালাম করে তাদের ছত্রছায়ায়  শুরু হয় বন্দরে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সাধারন মানুষের প্রতি রক্তচুষা নির্যাতন।
৫ ই আগষ্টের পর রুপ পাল্টে পুনরায় বিএনপির হয়ে আজমেরী ওসমানের সহযোগী হানিফকে ও বন্দরের জোড়া খুনের প্রধান দুই আসামিকে সামনের সাড়িতে নিয়ে তারেক রহমানের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন যা স্থানীয়দের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

এদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে আবুল কাউছার আশা আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নারায়ণগঞ্জে সহিংসতা, নাশকতা ও রাস্তাঘাট অবরোধ ও জ্বালাওপোড়া করে সাধারণ মানুষের জান মালের ক্ষতি করার যে পরিকল্পনা করছেন তা থেকে বিরত থাকার আহবান জানান এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, জেলা  পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কেউ যেনো নারায়ণগঞ্জকে অস্থিতিশীল করতে না পারে সেদিকে নজর রাখারও আহবান জানান।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্তদের কারও পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।