শনিবার (২ আগষ্ট) বিকালে বন্দর কদম রসূল কমিনিউটি সেন্টারে আমরা বন্দরবাসী’র উদ্যোগে উক্ত নাগরিক সংলাপের সভাপতিত্ব করেন আমরা বন্দরবাসী’র সহ সভাপতি গোলাম সারোয়ার সাঈদ। তিনি বলেন, বন্দরের দাবি গুলো নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যাবো,আপনারা আমাদের সাথে যাবেন। আমরা চেষ্টা করবো নিয়মতান্ত্রিক ভাবে কাজ করতে, যদি না হয় প্রয়োজনে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেব।
উক্ত সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সাবেক এমপি এডভোকেট আবুল কালাম। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আবুল কালাম বলনে, নারায়ণগঞ্জ ৫ আসন নিয়ে যা হচ্ছে এটা অবশ্যই বৈষম্যের স্বীকার। স্বাধীনতার পূর্বে এবং পরে নির্বাচিত এমপি কোন এলাকার ছিলো এটা জানতে হবে। বন্দরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ছিল না, কলেজ ছিল না,আমরা করেছি। পৌরসভা ছিল সিটি করপোরেশন করেছি। আপনারা যদি ৩ আসনে চলে যান, তাহলে আর সিটি করপোরেশনে থাকবেন না। আমাদের নিয়ে বৈষম্য চলছে।জনস্বার্থে কাজ না করে আমাদেরকে ছোট করেছে সেই ফ্যাসিস্ট আমলের নির্বাচন কমিশন। আমরা বিগত ফ্যাসিস্ট আমলের নির্বাচন কমিশনের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আপনারা প্রয়োজনে বন্দরকে একক আসন করে দেন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে নির্বাচন কমিশনকে আবেদন করবো এবং এডভোকেট হিসাবে মামলা করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন,করবো। আপনারা বন্দরবাসী এক হয়ে কাজ করবেন।
এসময় সংলাপে আমরা বন্দরবাসী’র ৫ টি দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান । দাবি গুলো হলোঃ
১. আমরা পূর্বের অবস্থায় থাকতে চাই-।
২. নতুন প্রস্তাবনা বাতিল ঘোষণা করা হোক।
৩. প্রয়োজন হলে আমাদের উপজেলা কে সিটি কর্পোরেশন করা হোক।
৪.অন্যথায়; বন্দরকে সতন্ত্র আসন ঘোষণা করা হোক।
৫. না হলে বৃহঃ আন্দোলন।
এসময় আমরা বন্দরবাসীর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় ,সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট ইমরান হোসেন লিপেন সহ আরো বক্তব্য রাখেন নাসিক ২৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা। মুছাপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম, জাকির হোসেন, বাংলাদেশ জাস্টিস মুভমেন্ট’র নারায়ণগঞ্জ সমন্বয়ক মাওলানা হাবিবুর রহমান সিদ্দিক, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন বন্দরের সমন্বয়ক। মিজান মেম্বার, আনোয়ার মেম্বার, সামসুনাহার ময়না, বন্দর প্রেসক্লাব সভাপতি আতাউর বহমান।