নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জ:
বাবা-মায়ের অমতে পিরোজপুর থেকে নাহিদ নামে এক যুবকের সাথে পালিয়ে বিয়ে করেন রোকসানা। নারায়ণগঞ্জে চিটাগাংরোড এলাকায় থাকা শুরু করেন তিনি। পরে স্বামীর সাথে মতের অমিল হওয়ায় ফতুল্লায় ভাড়া বাসায় একা থাকা শুরু করেন ও গার্মেন্টসে চাকরি করেন তিনি। এরপর স্বামীর সাথে ঝগড়া করে এক পর্যায়ে হতাশ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় রোকসানা।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ফতুল্লার মুসলিমনগর হাবুইল্লার ব্রীজ সংলগ্ন মোখলেছুর রহমানের ভাড়াটিয়া বাসার একটি রুম থেকে, গার্মেন্টস কর্মী রোকসানার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশ খবর দেয় স্থানীয়রা। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রেহানুর ইসলাম।
নিহত গার্মেন্টস কর্মী গার্মেন্টস কর্মী পিরোজপুর জেলার নেসারাবাদ থানার পঞ্চবেটি গ্রামের ফিরোজ মিয়ার মেয়ে।
এসআই মো. রেহানুর ইসলাম জানান, বাবা মায়ের অমতে বিয়ে করেন এক যুবকের সাথে। সেকানে বনিবনা না হওয়া গার্মেন্সে চাকরির সুবাদে ফতুল্লা একা বসবাস করতের নিহত তরুণী। আজ সকালে তার এক বন্ধু খবর নিতে এসে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশ খবর দেয়। আমরা লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষ করে মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করি।
তিনি আরও জানায়, এই ঘটনায় নিহত তরুণীর মা-বাবাকে অবগত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ যানা যাবে। একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্ততী চলছে।