নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জঃ
একসময় যানজটের জন্য কুখ্যাত নারায়ণগঞ্জে এখন যানচলাচল সহনীয় পর্যায়ে চলে এসেছে। এই অর্জনের পেছনে নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগের অক্লান্ত পরিশ্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই সাফল্যকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ফকির নিটওয়ারের কর্মকর্তাগণ জেলার পুলিশ সুপার এবং ট্রাফিক বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই উপলক্ষে ট্রাফিক বিভাগের সকলের জন্য পানি, বিস্কুট, স্যালাইন, মাস্ক এবং ছাতা নামক উপহার সামগ্রীও হস্তান্তর করা হয়েছে।
উপহারসমূহ নারায়ণগঞ্জ জেলার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টি.আই.) এম এ করিমের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই উপলক্ষে ফকির নিটওয়ারের প্রতিনিধিরা বলেন, “আমরা সব সময় আপনাদের পাশে আছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ। যেকোনো প্রকার সহযোগিতার প্রয়োজনে আমাদের জানাবেন। ফকির নিটওয়ার সর্বদা আপনাদের পাশে রয়েছে।” তারা ট্রাফিক বিভাগের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও অভিনন্দনও পাঠিয়ে দিয়েছেন।
ফকির গ্রুপের কর্মকর্তারা জানান, রোদ, বৃষ্টি ও ঝড়-জলের মধ্যেও অক্লান্ত পরিশ্রম করে যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক বিভাগের অবদান অসামান্য। এর ফলে তাদের মালবাহী গাড়িগুলো নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে এবং ব্যবসায়িক কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। টি.আই. এম এ করিমের নেতৃত্বাধীন ট্রাফিক বিভাগের এই দায়িত্ববোধের জন্য বিশেষ করে পুলিশ সুপারসহ সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তারা।
একসময় নারায়ণগঞ্জের যানজট ছিল অন্যতম প্রধান সমস্যা। অটোরিকশার অতিরিক্ত চলাচল, মেইন রাস্তায় স্ট্যান্ড তৈরি, ফুটপাত দখল, ড্রেনেজ উন্নয়নের ধীরগতি এবং বিসিক-পঞ্চবটি এলাকার রাস্তা সংস্কারের কাজের কারণে ট্রাফিক বিভাগকে ব্যাঘাতের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তারপরও অক্লান্ত চেষ্টায় যানজট নিয়ন্ত্রণে তাদের সাফল্য সকলের স্বীকৃতি পেয়েছে।
এই সাফল্যে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক সংগঠনের সহযোগিতাও উল্লেখযোগ্য। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্স এবং বিপিএমই-এর মতো সংস্থাগুলো স্বেচ্ছাসেবী ছাত্রদের মাধ্যমে যানজট নিরসনে সহায়তা প্রদান করছেন এবং নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন। ফলশ্রুতিতে এখন যানজট সহনীয় পর্যায়ে এসেছে।
ফকির নিটওয়ারের কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং রাস্তা উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন হলে যানজট সম্পূর্ণ নিরসন হবে। এই উপহার প্রদানকে যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগকে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করার একটি সামান্য উদ্যোগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তারা।