মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখ দুপুর ১২টায় এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে এজাহারনামীয় ৮ নং আসামি রাহাতসহ আরও ১০/১২ জন লোক নিরাপত্তা প্রহরী আবু হানিফকে (৩০) তাঁর বাসা ‘জিতু ভিলা’ থেকে ডেকে নিয়ে যায়।
প্রথমে আবু হানিফকে নারায়ণগঞ্জ সেন্ট্রাল হাসপাতালের বিপরীত পাশে সুন্দরবন মাঠে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয়। আনুমানিক সাড়ে ১২টায় সেখান থেকে তাঁকে নারায়ণগঞ্জ সেন্ট্রাল হাসপাতালের সামনে জোড়া ট্যাংকির মাঠের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আরও উচ্ছৃঙ্খল জনতা জড়ো হয়ে তাঁকে মারধর করে। সর্বশেষ ঐদিন দুপুর দেড় টায় থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে অটোতে করে খানপুর মেট্রো হলের পশ্চিম পাশে বাউন্ডারি করা খালি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে উল্লিখিত বিবাদীসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জন মিলে তাঁকে ইট দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর, কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে।
গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আবু হানিফকে দুপুর ৩টায় খানপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখ রাত ১০টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এই ঘটনায় নিহতের ভাই মো: হযরত আলী বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি নিয়মিত হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি রাহাতকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
