নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জঃ
ওসমানদের দোসর নিয়াজের বিরুদ্ধে মসজিদের সম্পত্তি গ্রাসের অভিযোগ। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ কামালউদ্দিন মোড়স্থ টি হোসেন রোডের হাজী জালাল সরদার জামে মসজিদের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে ওসমান দোসর নিয়াজ মাহমুদের বিরুদ্ধে। মসজিদের ওয়াকফকৃত সম্পত্তিতে ইতোমেধ্যে একটি নামধারী স্কুলও গড়ে তুলেছে সে। তার এহেন আচরণে ফুঁসে উঠতে শুরু করছে মুসল্লীসহ এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকা করছে এলাকাবাসী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মসজিদের নিয়মিত নামাজ আদায়কারী মুসল্লী জানান,নিয়াজ মাহমুদ একজন সুবিধাবাদী লোক। নিজের প্রয়োজনে সে যে কোন ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে মানুষের জায়গা-জমি দখলে নেয়। তার নামে যে কমিউনিটি সেন্টার সেটাও তার জায়গা না। অনেকের ওয়ারিশের সম্পত্তি সে একাইজোরপূর্বক দখলে নিয়েছে। এখন আবার স্বয়ং আল্লাহর ঘর মসজিদের জায়গাও দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই সম্পত্তির কিছু অংশ তাদের ছিল কিন্তু তারা সেগুলো ওয়াকফ করে দিয়েছেন দলিলে তার সাক্ষরও রয়েছে অথচ নিজের স্বার্থে এখন সেই জায়গাও দখলে নিতে চাইছে। যারা মসজিদের সম্পত্তি নিয়ে কাড়াকাড়ি করে তারা কাফেরের বংশধর। অপরাপর মুসল্লী একই শর্তে জানান,নিয়াজ মাহমুদের সঙ্গে কথা বললে মনে হয় সে ভাজা মাছ উল্টিয়ে খেতে জানেন না আসলে সে অনেক গভীর জলের মাছ। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সে বন্দরের অনেকের জায়গা দখল করেছে। সেলিম ওসমান,শামীম এবং আজমীর ওসমানের দোসর ছিলেন তিনি। যখন যেখানে যাকে প্রয়োজন তখন সেখানে তাকে দিয়েই কাজ বাগিয়ে নিতেন। আওয়ামীলীগের ক্যাডার শাহ নিজাম,হেলালসহ সবার সঙ্গে তার গভীর সখ্যতা থাকায় কেউ তার বিরুদ্ধাচরণ করতে সাহস পেতো না। ইদানীং সে আবার নিজেকে বিএনপি-জামায়াতের অনুসারী দাবি করে মসজিদটি নিয়ে নানা তালবাহানা করছে। এলাকাবাসী নিয়াজ মাহমুদের রাহুর গ্রাস থেকে জালাল সরদার মসজিদের সম্পত্তি মুক্ত চান। তার প্রশাসনের উর্দ্ধতন মহলসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্থানীয় পর্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের হস্তপেক্ষ কামনা করছেন। এ ব্যাপারে নিয়াজ মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
সোনারগাঁয়ে হেফাজত কর্মী হত্যার ৩ বছর পর মামলা ও সাবেক ২ এমপির সাথে নিয়াজ উদ্দিনসহ ১২৮ জনের নামে মামলা নিয়ে সর্ব মহলে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা। চায়ের দোকান হতে বিভিন্ন শপিং মহল ও সাধারন জনগনের মাঝে দেখা মিলেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দেশজুড়ে মামলা সেই বিষয় আমাদের দেখে লাভ নেই। আমরা চিন্তায় আনতে পারি না নিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সাহেবের বিষয়টি। তিনি রাজনীতি করতো কি না তা জানি না। এখন দেখতেছি তিনিতো গভীর জ্বলের মাছ। না ধরি মাছ না ছুই পানি এরই নাম নিয়াজ উদ্দিন। বিগত সরকারের সময়ে ওসমান দোসরদের সাথে গোপন সখ্যাতা, তেমনি লালন করতো একাধিক গ্রুপ। যা তার সামনে বা পেছনে কোন গ্রুপ বা লোকের ছবিতে না পাইলেও তার কাজ হাসিলে যে সময় যাকে প্রয়োজন তাদের ব্যবহার করতো। ওসমানরা নেই এখন হাত মিলিয়ে রীতিমতো মিছিল করতে দেখা গেছে। মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড শাখাওয়াত হোসেন ও সদস্য সচিব এড আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সাথে সেই নিয়াজ উদ্দিন আহমেদের মিছিলের ছবি ভাইরাল। কে এই নিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সমাজে সুশীল আবার নিজ স্বার্থ হাসিলে সকল দরজায় যাওয়ার। দেখতে ভদ্র হলেও তার ভিতরে আরেক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ল০ক জানায়, তার কমিউনিটি সেন্টারের জায়গা নিয়ে সমস্যা, মসজিদে জায়গা দেওয়া নিয়ে মারামারি এমনকি কাজও বন্ধ ছিল। এখন দেখা যায় তার বাহিনীও আছে। যে বাহিনী দিয়ে মসজিদের পিছনে বাড়িঘর ভাংচুর ও দখলও করেছে। জমি সংক্রান্ত মামলাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সমাজ থেকে এমন ভদ্রবেশী লোকগুলোকে সনাক্ত পূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে যথাযথ বিচার করার।
উল্লেখ য, রয়েল রিসোর্টে হেফাজত কর্মীর মৃত্যুর তিন বছর পর দুই সংসদ সদস্যসহ ১২৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে হেফাজতে ইসলাম সোনারগাঁ শাখার সদস্য মাওলানা শাজাহান শিবলী।
রবিবার রাতে সোনারগাঁ থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল বারী।
মামলায় নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল-কায়সার, নিয়াজ উদ্দিন আহমেদসহ ১২৮ জনকে আসামি করা হয়।
এ মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, রাজধানীর মতিঝিল জোনের সাবেক এডিসি আতিকুল ইসলাম মুরাদ, সোনারগাঁ উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ ডিবির সাবেক ওসি মো. এনামুল কবির ও সোনারগাঁ থানার সাবেক ওসি মো. হাফিজুর রহমানকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলায় হেফাজতে ইসলামের সমর্থক শাহজাহান শিবলী উল্লেখ করেন, “কেন্দ্রীয় হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক তার স্ত্রীসহ গত ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল রাতে সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে অবকাশ যাপনের জন্য আসেন। ওই সময় দুই সাবেক সংসদ সদস্যের ষড়যন্ত্রে পুলিশ প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে এজহারনামীয় আসামিরাসহ এক থেকে দেড়শ আসামি মামুনুল হককে স্ত্রীসহ হেনস্তা করে রিসোর্ট থেকে বের করে দেয়। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সোনারগাঁয়ের হেফাজত কর্মী মাওলানা ইকবাল হোসেন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় মামুনুল হককে স্ত্রীসহ হেনস্তার জোরালো প্রতিবাদ করেন। এসময় আসামিরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কিল, ঘুষিসহ লোহার রড দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। আহত অবস্থায় তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করে। ওই সময় পুলিশ তাকে রিমান্ডের নামে নির্যাতন করে। নির্যাতনে ইকবাল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল রাত ১২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এজহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ওই সময় বিরূপ পরিস্থিতির কারণে মাওলানা ইকবাল হোসেনের পরিবার মামলা করতে সাহস পায়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় তার পরিবারের পক্ষে মামলা দায়ের করা হলো।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, “গত রবিবার রাতে অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।”
আলোচিত-সমালোচিত ব্যাক্তি নিয়াজ উদ্দিন
বন্দরে নানা কাজে আলোচিত-সমালোচিত একজন ব্যাক্তি নিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত না থাকলেও প্রয়োজনে সকলের সঙ্গে সখ্যতা বজায় রাখে। নাসিক ২৪ নং ওর্য়াডস্থ বন্দরের কামাল উদ্দিনের মোড় এলাকার মৃত মহিউদ্দিন সরদারের ছেলে নিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। তার পিতার নামে স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে পরিচিত, যা মোনতাসির আকবরের লেখা বইয়ের ১৩ নং পৃষ্টায় আছে। নিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলতে গেলে সুশীল সমাজের লোক হলেও অন্তরালে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। রাজনীতির সাথে সরাসরি দেখা না মিললেও প্রয়োজনে গোপন সখ্যাতা ছিল প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের সাথে। নিজ এলাকায় নিজের অবস্থান জানান দিতে তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে একাধিক বাহিনী। ওসমান পরিবারের সাথে গোপন সখ্যতার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুক ভাইরাল। এ ছবি দেখে অনেকে নানান প্রকার মন্তব্য করেন। যে ভদ্রলোকরাও গোপন সখ্যতার মাধ্যমে চলে। যার জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে রয়েছে নানান অভিযোগ। কদম রসুল কমিউনিটি সেন্টারের জায়গা নিয়েও রয়েছে সমস্যা। এমনকি জালাল সরদার জামে মসজিদের জন্য জায়গা দেওয়া নিয়েও বাধা হয়ে দাড়ায়। যে কারনে মসজিদের কাজ কিছু দিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় শুরু হয়।
ওসমানদের দোসর নিয়াজ উদ্দিন প্রকাশ্যে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে ও বিভিন্ন লোককে মামলায় আসামী করতে সার্বিক সহযোগিতা করার একাধিক প্রমানসহ অভিযোগ রয়েছে। পার্সপোট বাবুর নামে রয়েছে মামলা। যে বাবু মাদক সম্রাট সুজনের সার্বিক সহযোগী আর আন্ডারগ্রাউন্ডের খেলোয়ার নিয়াজ উদ্দিন। তারপরও বহাল তবিয়তে দাপটে অবস্থায়। নাসিক ২৪ নং ওর্য়াডের বন্দরের কামাল উদ্দিনের মোড় এলাকায় মৃত মহিউদ্দিন সরদারের দ্বিতীয় সংসারের ছেলে নিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। শিক্ষিত ও বিশাল মাপের চতুর প্রকৃতির ( মাস্টার মাইন্ড)’র খেলোয়ার। নিয়াজ উদ্দিনের বংশগত ভাবে জামায়ত ইসলামীর সমর্থক হলেও বিগত স্বৈরাচারী সরকারের ১৬ বছর কৌশলে ওসমান পরিবারের সাথে গোপনে সখ্যতা গড়ে তুলে। নারায়নগঞ্জের চাষাঢ়ায় বসবাস করে। নিজে সেফ ও তার স্বার্থ হাসিলে গোপনে সখ্যতা গড়ে তুলে সাবেক সাংসদ শামীম ওসমানের সাথে। শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহচর জাকিরুল আলম হেলাল, সাজনুসহ তাদের মাধ্যমে শামীম ওসমানের সাথে সম্পর্ক ঘরে তুলে। মাস্টার মাইন্ড নিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ওসমান দোসরদের সাথে সখ্যতার খবর ১৬ বছর না জানতে পারলেও বর্তমানে বেড়িয়ে আসছে চমক পদক তথ্য। শুধু শামীম ওসমান নয়, জাকিরুল আলম হেলাল, সাহাদাত হোসেন সাজনু, ছাড়া তার সম্পর্ক ছিল প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের সাথে। প্রতি মাসেই নিয়াজ উদ্দিন আহমেদ তাদের সম্মানী দিত বলে জানা গেছে। দেখতে সুদর্শন হলে অর্থ লিপসা তাকে ন্যায়- অন্যায়ের বিষয়টি অনেকটা হারিয়ে ফেলেছিল। বড় ভাইদের সম্মানীতো নিজের পকোটের টাকা দিলে আর চলবে না। ভদ্রলোক তারা মাদক ব্যবসায়ীসহ অনেক অপরাধীকে পর্দার আড়ালে থেকে সার্বিক সেল্টার দেয়ার প্রমানসহ অভিযোগ রয়েছে। ছাত্র জনতার বৈষম্যের বিরোধী আন্দোলন শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ে। তার সাথে সাথে ওসমান পরিবারের দোসররা দেশত্যাগসহ অনেকে আত্মগোপনে থাকলেও বহাল তবিয়তে বহুরুপী নিয়াজ উদ্দিন। বিগত সরকারের সময়ে বহাল তবিয়তে থাকলেও তারচেয়ে বেশ দাপটে অবস্থানে। বহুরুপী লেবাসধারী নিয়াজ উদ্দিনকে প্রশাসন জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেড়িয়ে আসবে অনেক অজানা তথ্য ও ওসমানদের সার্বিক বিষয়। লেবাসধারী নিয়াজ উদ্দিন আহমেদের বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের দাবী এলাকাবাসীর।
###