নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জ:
নিজস্ব প্রতিনিধি-
সিদ্ধিরগঞ্জে কথিত হাইব্রিড এক নেতা মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার ছেলে জৌতির সঙ্গে তোলা ছবি ব্যবহার করে এলাকায় ত্রাশের রাজত্ব কায়েম করেছে বলে এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে এসেছে। কথিত এ নেতা হলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ( নাসিক) ২ নং ওয়ার্ডের ভুমিদস্যু ও কিশোরগ্যাং এর মদদদাতা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি পরিচয় দানকারী নানা অপকর্মের হোতা শফিকুল ইসলাম শফিক।
তথাকথিত এ নেতা সুকৌশলে বর্তমান দলীয় সরকারের প্রভাবশালী এমপি- মন্ত্রীদের সাথে ছবি তুলে সে ছবি তাঁর অফিস কার্যালয়ে সাইনবোর্ড আকারে লাগিয়ে দিনদিন এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে চলছে। সেই সাথে তার পুত্র রাইসুল ইসলাম সিমান্ত হয়ে উঠেছে কিশোরগ্যাং এর প্রধান দলনেতা। সে গড়ে তুলেছে একটি অপরাধী চক্র। ইদানিং সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজিতে আলোচিত তিনটি কিশোরগ্যাং এর নাম উঠে এসেছে। গ্রুপ তিনটি হলো - টেনশন গ্রুপ, ডেভিল এক্সাে গ্রুপ ও মাফিয়া গুপ। অনেকের মতে নেপথ্যে এই তিন গ্রুপের শেল্টার দাতা শফিকুল ইসলাম শফিক। আর তাদের নিয়ন্ত্রণ করছে তারই পুত্র সিমান্ত।
মাদকসহ একাধিক মামলার আসামী টেনশন গ্রুপের লিডার শফিক এর পুত্র রাইসুল ইসলাম সীমান্ত গত ২৩ জুন রাতে যুবলীগের অফিসে হামলা চালায়। এই ঘটনায় টেনশন গ্রুপের লিডার রাইসুল ইসলাম সীমান্তসহ অজ্ঞাত নামা দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করা হয় বলে যানা যায়। । টেনশন গ্রুপের লিডার রাইসুল ইসলাম সীমান্তের নামে রয়েছে একাধিক মামলা।
টেনশন গ্রুপের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সিদ্ধিরগঞ্জের ২ নং ওয়ার্ডসহ আশপাশের এলাকার সাধারণ মানুষ।
বাপ ছেলে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তুলেছে। পিতা এবং পুত্রের অপরাধের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে গেলেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী,মন্ত্রীর পুত্র সেই সাথে নারায়ণগঞ্জের প্রাণ পুরুষ জননন্দীত নেতা এমপি একেএম শামীম ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকে। এমনকি নানা ধরনের হয়রানি ও মারধরের শিকার হতে হয়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের কারনে মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে গেলেও জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও অপরাধ মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
এলাকাবাসীর মতে শফিকের তিন ছেলেই সন্ত্রাসী। একেকজনের রয়েছে একটি করে সন্ত্রাসীবাহিনী। এই তিন ছেলের বাহিনী দিয়ে করে চলছে বিভিন্ন অপকর্ম। তাই এলাকাবাসীর দাবি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার পুত্র জৌতির হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সেই সাথে আইনশৃংখলা রক্ষাবাহিনির তাদের অপরাধ দমনে পদক্ষেপ চায়।
নয়তো সিদ্ধিরগঞ্জে সাধারণ মানুষের সাথে এই অপরাধী পরিবারের সাথে যেকোন মুহুর্তে ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।