নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জ:
বন্দর প্রতিনিধি: প্রতিনিয়ত বিএনপির একটি চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠছে। অলিখিতভাবে ক্ষমতা তারা এমন চিন্তাধারায় প্রায় ১শত ২ দিনের মধ্যেই বিএনপির নেতারা জবরদখল শুরু করেছে। গত ৫ আগস্ট ছাত জনতার বৈষম্যের বিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়লে আওয়ামীলীগ-জাতীয় পার্টির লুটেরা- আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া নেতারা আত্নগোপনে যায়। ৫ আগস্টের বিকাল থেকে দলের ব্যানারে টোকাই হতে কোটিপতি বনে যাওয়া ১৬ বেশ দাপটেরা বিড়ালের মত পালিয়ে যায়। রাজপথে সক্রিয় অবস্থানে ফিরে আসে বিএনপি। দলের ক্ষমতার প্রভাবে টোকাই, অটোরিকশা, বেকার যে বম্মপুত্র নদী খনন, বালু মহল চালিয়ে ২৩ নং ওর্য়াডেই প্রায় ১৫/২০ জন কোটিপতি বনে গেছেন। কর্মী ছেড়ে টাকা উর্পাজনে মত্ত নেতাদের দাবানলে তছনছ দেশের প্রাচীন দল। আর দীর্ঘ ১৬ বছর পর জামায়াত ইসলামী রাজনীতির মাঠে নেমেই সামাজিক ও সাংগঠনিক কাজগুলো জোড়ালোভাবে করে যাচ্ছে। অপরদিকে বিএনপির একটি চক্র দখলদারিত্বে শীর্ষে অবস্থান করছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ডে রূপালী এলাকায় আরসিসি রাস্তার উপর প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ড্রেজার পাইপ নিয়ে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বন্দর থানা যুবদল নেতা আমির হোসেন এর বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বন্দরের রূপালী এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে আরসিসি রাস্তা বন্ধ করে ড্রেজার পাইপ বসিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে ভরাটের কাজ চলছে। এর দুই পাশ থেকে চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, বন্দর স্কুল ঘাট থেকে রূপালী হয়ে মেরিন এ চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করার মানুষ হেটে চলাচল করতে হচ্ছে। সরকার পতনের পর ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে বন্দর থানা যুবদল নেতা আমির হোসেন ড্রেজার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এতে ড্রেজার পাইপ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে চলাচলের বিঘœ ঘটানো হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণ-আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বন্দর রূপালী এলাকা নিয়ন্ত্রণ নেন যুবদল নেতা আমির হোসেন। পাশাপাশি শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে সরকারি জায়গা দখল করে ইট, বালুর ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে। একই সঙ্গে আরসিসি রাস্তা বন্ধ করে ড্রেজার পাইপ নিয়ে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে এই যুবদল নেতা।
এ বিষয়ে বন্দর থানা যুবদল নেতা আমিরের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেনি।
এ বিষয়ে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা এখনি সরেজমিনে গিয়ে দেখবো, যদি এরকম কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে অবশ্যই আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।