আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী কার্যক্রম গতিশীল ও সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও ক্রীড়ানুরাগী মাসুদুজ্জামান মাসুদের নির্বাচনী কার্যালয়ের উদ্বোধন হয়েছে। বিএনপি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী এবং সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে আয়োজনটি বর্ণাঢ্য হয়ে ওঠে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের খানপুরের বরফকল এলাকার করবী সিটি প্লাজার দ্বিতীয় তলায় কার্যালয়টি উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী বক্তব্যে মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, “আমি জাতীয়তাবাদী দলের মনোনীত একজন প্রার্থী হয়েছি। আমাদের সামনে নির্বাচন, এবং এই নির্বাচনটি কীভাবে করা হবে সেটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রাজপথ নয়, এখন মানুষের দোরগোড়ায় যেতে হবে। মানুষ প্রার্থীকে দেখতে চায়, তার পরিকল্পনা জানতে চায়। তারপরই তারা ভোটের সিদ্ধান্ত নেয়। আপনারা আজকের পর থেকেই ছোট ছোট গ্রুপে ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচারণা চালাবেন।
তিনি আরও বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে নির্বাচনের ট্রেনে উঠে পড়েছি। এখন আমাদের দায়িত্ব মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছানো। পজিটিভভাবে কাজ করতে পারলে অবশ্যই ধানের শীষ সর্বোচ্চ ভোটে জয়ী হবে।”
ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরে মাসুদুজ্জামান বলেন, “মহানগরের সবাই একসঙ্গে পরিকল্পনা করলে সাধারণ মানুষ ও ভোটারদের কাছে ইতিবাচক বার্তা নিয়ে পৌঁছানো সম্ভব। যদি বিএনপি ঐক্যবদ্ধ থাকে, ইনশাআল্লাহ নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনেই ধানের শীষ বিজয়ী হবে। আমি এ কথাটি তারেক রহমানকে বলেছি—আপনারা সেই কাজটিই করবেন, যেন তাকে বিজয়ের উপহার দিতে পারি।”
তিনি জানান, “নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রচারণার জন্য একটি কেন্দ্রীয় অফিসের প্রয়োজন ছিল। আজ তা পূরণ হয়েছে। কিছু ভুলের কারণে অনেকে উপস্থিত থাকতে পারেননি, তবে আমি আশা করি সামনে সবাই একসঙ্গে যুক্ত হবেন।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, আনোয়ার হোসেন আনু, নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, মহানগর বিএনপির সদস্য মনোয়ার হোসেন শোখন, মো. আলমগীর হোসেন, শহিদুল ইসলাম রিপন, ফারুক আহম্মদ রিপন, অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু, ফারুক হোসেন, গোলাম নবী মুরাদ, শওকত হোসেন শকু, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ্, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ লিটন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাখাওয়াত ইসলাম রানা, কৃষকদলের সভাপতি এনামুল খন্দকার স্বপন প্রমুখ।
