মঙ্গলবার, ১৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
শিরোনামঃ
নারায়ণগঞ্জ কে আজ থেকে চাদাঁবাজ-সন্ত্রাস মুক্ত ঘোষণা দিলেন গিয়াসউদ্দিন নাঃগঞ্জ হাজীগঞ্জে জুলাই শহীদের স্মরণে প্রথম স্মৃতিস্তম্ভ  উদ্বোধন  রাজীবের বক্তব্যের সমালোচনা, ইসলাম সম্পর্কে আরো স্টাডি করে বক্তব্য দেওয়া উচিত শহীদ আদিলের কবর জিয়ারতের মধ্যে দিয়ে নবগঠিত কমিটির যাত্রা শুরু  দায়িত্ব পাওয়ার ৭২ ঘন্টার মাথায় সোনারগাঁ থানার ওসি প্রত্যাহার শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া কয়েদির মধ্যে একজন ফতুল্লায় গ্রেপ্তার  নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে বন্দি এক আসামির মৃত্যু  গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন’ কর্মসূচির আওতায় এক লক্ষ গাছের মাইলফলক স্পর্শ, সবুজে ঘেরা প্রাচ্যের ডান্ডি গড়ার দীপ্ত যাত্রা শেখ হাসিনার সময়ে নারায়ণগঞ্জে অনেক গডফাদার সন্ত্রাসী তৈরি হয়েছে : মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধা প্রদান করে দক্ষ ও মেধাবী করে গড়ে তুলতে জেলা প্রশাসন বদ্ধ পরিকর–ডিসি

সিদ্ধিরগঞ্জে আরোও ৪ টিকে হত্যা মামলা দায়ের 

নিউজ ২৪ নারায়ণগঞ্জঃ 

বিগত বছরের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সিদ্ধিরগঞ্জে নির্বিচার হামলা ও হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ, সাবেক মন্ত্রিসভার সদস্য এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আসামি করে আরও চারটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলাগুলো শহীদদের পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা হয়েছে।

তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) মো. শাহিনূর আলম। তিনি জানান, গত ২৭ ও ৩০ জুন এই মামলাগুলো সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় রেকর্ড করা হয়। একটি মামলা ২৭ জুন এবং বাকি তিনটি ৩০ জুন দায়ের হয়েছে। মামলা তদন্তাধীন রয়েছে এবং তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে।”

চারটি মামলার বাদীরাই গণঅভ্যুত্থানের সময় নিহত চারজনের স্বজন। এজাহার অনুযায়ী, এসব মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, তার পরিবারের সদস্য এবং একজন কাউন্সিলরকে। এছাড়া প্রতিটি মামলায় ৬০ থেকে ১৫০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, ২০২৪ সালের ১৯ ও ২০ জুলাই কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলন চলাকালে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় হামলা চালানো হয়। এতে জালকুঁড়ি, মাদানিনগর ও ডাচ্ বাংলা ব্যাংক এলাকার তিনটি স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজন নিহত হন।

ভুক্তভোগীদের পরিবার দাবি করেছে, সেদিন আন্দোলন দমন করতে পরিকল্পিতভাবে গুলি চালানো হয়। কয়েকজনের মরদেহ ঘটনাস্থলে, আবার কারওটি পরদিন উদ্ধার করা হয়। মামলাগুলোর অভিযোগে বলা হয়েছে, “এই ঘটনা গণহত্যার শামিল। উচ্চপর্যায়ের নেতৃত্বে সংঘটিত হওয়ায় দৃষ্টান্তমূলক বিচার হওয়া জরুরি।”

পুলিশ জানিয়েছে, মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই মামলাগুলো গত বছরের গণঅভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ন্যায়বিচারের নতুন দুয়ার খুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

খবরটি সবার সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও খবর...।